চন্দ্রিমা ।।। বিপ্লব ঘোষ
সেই শিশুকাল থেকে সুখে দুখে আনন্দে প্রেমে বিরহে বিচ্ছেদে সে শুধু দিয়ে গেছে।রাতের আকাশে শালের জঙ্গলে পাহাড়ের কুটিরে নদী মাঝির ভাটিয়ালি গানে — জ্যোৎস্নার ফেরিওয়ালা।পৃথিবীর সকল দুয়ারে এসে বলে– আমি চন্দ্রিমা। মায়াবী আলো মেখে নাও। ভুলে যাও সব বিষাদ, মনকেমনের যত আঘাত। এই দেখো আমার যত কলঙ্ক, ক্ষত আমি ঢেকেছি গোপনে।চোখের জল নিজেকেই মুছে নিতে হয়।আলো বুননের কাজ করে যাও দুঃখের চরাচরে।দিয়ে শূন্য হও।শূন্যের ভিতর কত ঢেউ- গভীরে গিয়ে দেখ মানুষ। ত্যাগই সকল আনন্দের আধার।সূর্য যেমন নিজে পুড়িয়ে আলো জ্বালায়।
তোমাকে দেখে নারী আজ এই হেমন্তের সন্ধ্যারাতে মনে হলো চাঁদের মত তোমার কোন দেশ নেই। পৃথিবীটাই তোমার স্বদেশ। সীমান্তে কোন কাঁটাতার নেই। যে পাখি যত উপরে উঠে সে তত চাঁদের মত একা হয়ে যায়। জেনো তুমি সে-ই পাখি। এ তো গৌরব।এই তোমার অহংকার। তুমি বিজয়নী। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত তুমি নারীকুলকে জাগিয়ে তুলছ জীবনের হাহাকার, অশ্রু বেদনার তুলিতে।চাঁদের আরেক নাম চন্দ্রিমা। ভুবন জ্যোৎস্না। আমি অমরত্ব উপেক্ষা করে সেই নামের ডালি সাজিয়ে তোমার পাদদেশে দিয়ে ধন্য হতে চাই। হে নারী গ্রহন করো।হে দেবী ,আমি স্বর্গে যাব।
আজ তবে শেষে বলি,আমার এক চাঁদ ছিল।নাম ছিল মুনমুন। সইল না বিদেশী ভাষা।অনন্ত বিরল রোগের কন্দরে সে মেয়ে আমার শুয়ে আছে।
তোমাকে দেখে তিন যুগ পরে মনে হলো আমার প্রিয় বাংলা ভাষায় নাম রাখি –চন্দ্রিমা।আমার আর হারানোর কিছু নেই। কাছে থাকো বা না থাকো আমি ঠিক তোমায় দেখতে পাব। আজ থেকে তুমি চন্দ্রিমা।