নগরমন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ স্থলাভিষিক্ত হবেন বিম আফোলামিরের। বিম একজন সাবেক এইচএসবিসি ব্যাঙ্কার। তিনি এর আগের রক্ষণশীল সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২০১৫ সালে প্রথম হ্যাম্পস্টেড-কিলবার্ন আসনের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন টিউলিপ। তখনই প্রথম হাউস অব কমন্সে তার প্রবেশ ঘটে। তারপর ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই আসন থেকে জয় পান তিনি। ওই বছর যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১ হাজার রাজনীতিবিদের তালিকায় তার নামও উঠেছিল। –
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া নির্বাচনে মোট ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে নির্বাচন করা টিউলিপ সিদ্দিক ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৬৩০।
জয়ের পর টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের দোয়ায় চতুর্থবারের মতো আমি নির্বাচিত হলাম। বাংলাদেশি কমিউনিটি সব সময় আমাকে সমর্থন করে। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ যে, তারা এবারও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।’
মেয়ের জয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও। তিনি বলেন, আমার মেয়ে আবার এমপি নির্বাচিত হলো। মানুষের সেবায় সে নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করবে। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, সারা বছরই সে এলাকায় কাজ করে। সবার কাছে দোয়া চাই, সে যেন তার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ৪১ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ২০২১ সাল থেকে লন্ডনের সিটি অফ ফিনান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্টের আর্থিক সেবার জন্য নীতিমালা তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ ইত্তেফাক
এসএস/সিএ