দেশের সংবাদ ফিচার্ড সোশ্যাল মিডিয়া

গোপালগঞ্জ ফের শহীদদের রক্তে রঞ্জিত

ফেসবুক থেকে স্ক্রিনশর্ট

গোপালগঞ্জ ফের শহীদদের রক্তে রঞ্জিত

বরিশাল থেকে পয়সার হাট কোটালিপাড়া রোড দিয়ে আসার কথা ছিল। ওরা রুট পরিবর্তন করে ঢুকেছে টেকেরহাট দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রহরায়।

এর আগে ভোরে উলপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জনগণের। পুলিশ ভ্যান রেখে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতার হাতে ভ্যানটি ভস্মিভূত হয়।

আর্মি ও পুলিশ টেকেরহাট টু গোপালগঞ্জ সড়কটি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এভাবেই এনসিপির লোকজন এসে পৌঁছায় গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে। পার্কটির পশ্চিম দিকে মরা মধুমতির সোতা। পুব দিকে কোর্ট বিল্ডিং, বঙ্গবন্ধু কলেজ, ডিসি অফিস।

পার্কে তখন উপস্থিত ছিল হাতে গোণা মাত্র জনা চল্লিশেক লোক। এর আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। সেনাপ্রহরায় সার্জিস, নাহিদ, হাসনাতরা দলবল নিয়ে পার্কের স্টেজে ওঠে। তারা মিটিং করুক এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের লোকজনের কোনো আপত্তি ছিল না।

কিন্তু আগের দিন পুলিশ সকল হোটেল থেকে লোকজনদের বের করে দিয়েছে। আর্মির প্রহরায় সারা শহরে এনসিপির মিটিংএর মাইকিং করেছে। কয়েকজন গৃহিনীকে এ্যারেস্ট করেছে। সারা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। সার্জিসরা স্টেজে মাত্র ১৪-১৫ মিনিট ছিল। পুরো সময়টিতেই তারা অত্যান্ত উস্কানীমূলক বক্তব্য রাখে। তারা আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার বক্তব্য রাখে। তাতেও সমস্যা ছিল না।

কিন্তু যখন তারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কদর্যভাষায় বক্তৃতা দেয়, তার শেষ নিশানাও মুছে দেওয়ার মতো উস্কানিমূলক কথা বলে তখন দূরে দাড়িয়ে থাকা লোকজন উত্তেজিত হয় পড়ে। তারা পার্কে দিকের এগিয়ে আসে। পুলিশ সেনাবাহিনী তাদেরকে বাঁধা দেয়। লাঠি চার্জ করে। গুলি করে। আর সার্জিস নাহিদ হাসনাতরা পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশের গাড়িতে করে এসপির অফিসে চলে যায়। অফিসটি পুলিশ আর আর্মি ঘিরে তাদের নিরাপত্তা বিধান করে। পার্কে উপস্থিত ৪১ জন এনসিপির লোক নিমিশের মধ্যে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের কাছে এরা ছিল অচেনা। এনসিপি এদেরকে ভাড়া করে এনেছিল বলে স্থানীয় লোকজনের অভিমত।

পার্ক এলাকায় তখন শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন তখন পার্ক এলাকা, ডিসি অফিস, এসপি অফিস এলাকায় ভিড় করে। সার্জিসদের নিরাপদে শহর থেকে বের করে আনার জন্য উপস্থিত জনতাকে এই এলাকা থেকে চৌরঙ্গির বাজার এলাকার দিকে সরিয়ে দিতে পুলিশ আর্মি দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সে সময়ে পুলিশ ও আর্মি গুলি করে তিনজনকে হত্যা করে। এই তিনজনই নিরীহ লোক। তারা দোকানপাট বন্ধ করে বাড়ির দিকে চলে যাচ্ছিল। তারপর আর্মির সাঁজোয়া যানে করে ইউনুসের মব বাহিনী সার্জিস নাহিদ হাসনাতরা ঘোনাপাড়া দিয়ে গোপালগঞ্জ শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পথে পথে তারা জনতার প্রতিরোধের সম্মখিন হয়েছে। তখন আর্মি ও পুলিশ গুলি করতে করতে ইউনুসের মব বাহিনীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এভাবেই ইউনুস বাহিনীর হাতে ৯ জন খুন হয়েছে একটি শান্ত নিরিবিলি জনপদে।গুলিবিদ্ধ হয়েছে অসংখ্য মানুষ।

কারফিউ জারি করা হয়েছে। ঘর থেকে বেরলেই গুলি করা হবে এই কথা প্রচার করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Kuloda Roy এর পোস্ট থেকে

এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন