কোভিড টেস্টের কুহেলিকা
কোভিড ক্রাইসিস আমাদের চেতনায় আর মানবিকতায় কতটুকু বিজ্ঞান মনস্কতার প্রলেপ লাগাতে পেরেছে আপাতত জানা নেই। ভবিষ্যতে জানতে হলে কোভিড উত্তর বিশ্ব পরিস্থিতির উপর ভরসা করতে হবে। তবে এতটুকু সবার জানা গত কয়েক মাসে মেডিক্যাল আর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের কিছু টার্ম আমাদের মনে গেঁথে গেছে। আরটিপিসিআর, র্যাপিড টেস্ট কিট, এন্টিজেন, এন্টিবডি ইত্যাদি পরিভাষা এখন আমাদের দৈনিক শব্দ চয়নের অংশ।
RTPCR (Reverse-Transcription Polymerase Chain Reaction) শব্দটি একটি বিক্রিয়ার সংক্ষেপিত রূপ যা পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন বা পিসিআর এর উন্নত সংস্করণ। পিসিআর আবিস্কারের জন্যে মার্কিন বিজ্ঞানী কেবি মুলিস ১৯৯৩ সালে রসায়নে নোবেল পান। পিসিআর আজ প্রায় কয়েক দশক যাবৎ বিজ্ঞান গবেষণা বিশেষ করে বায়োটেক, জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স ইত্যাদি বিষয়ে খুব ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি কৌশল। আরটিপিসিআর RNA নির্ণয়ে বিশেষভাবে ব্যবহৃত টেকনিক। কোভিড-১৯ এর জন্যে দায়ী করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2 একটি আরএনএ ভাইরাস হবার কারণে আরটিপিসিআর এর মাধ্যমে একে শনাক্ত করা যায় এবং এটি আপাতত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। কোভিড-১৯ এর মহাতাণ্ডবে আরটিপিসিআর শব্দটির সাথে আমাদের সবারই জানাশুনা। জেনেটিক্স বরাবরই উচ্চপ্রযুক্তির বিশেষায়িত একটি বিজ্ঞান এবং এই বিজ্ঞানের আরটিপিসিআর শব্দটি বৈজ্ঞানিক শব্দকোষের বাইরে এসে এখন বহুল প্রচারিত সাধারন শব্দের মত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আরটিপিসিআর পদ্ধতির জন্যে প্রয়োজনীয় মেশিন, টেস্ট কিট বিশ্বের বহু ডায়াগনোস্টিক এবং গবেষণা কোম্পানি তৈরি করছে। ডিটেকশনের জন্যে নমুনা প্রস্তুত করার কাজটি সময় বাঁচানো আর কন্টামিনেশন এড়িয়ে পরীক্ষার বিশুদ্ধতা রক্ষা করার জন্যে “একের ভেতর অনেক” পদ্ধতির কিটের মাধ্যমে করা হয়। সোয়াব অর্থাৎ তুলো বা গজের কাঠির মাধ্যমে নাকের ভেতর থেকে মূলত সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই সংগ্রহটি জটিল না হলেও সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। নমুনা সংগ্রহের পর অপরিশোধিত নমুনাটি থেকে বিভিন্ন রাসায়নিকের মাধ্যমে প্রোটিন, ফ্যাট এবং অন্যান্য মলিকূলকে আলাদা করে শুধু পরিশোধিত আরএনএ সংরক্ষণ করা হয়। এনজাইমসের বিক্রিয়ায় RNA কে DNA তে কপি করা হয়। পিসিয়ার মেশিনের মাধ্যমে ভাইরাসের আরএনএ স্ট্র্যান্ড থেকে কপিকৃত বিলিয়ন’স ভাইরাল ডিএনএ কে চিহ্নিত করা হয়। ফ্লোরোসেন্ট মার্কারের সাথে ডিএনএ এর সংযুক্তির ফলে উৎপন্ন ফ্লোরোসেন্স (আলোটি) নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছে যাবার পর মেশিন কর্তৃক শনাক্ত হয়ে ভাইরাসের উপস্থিতি জানান দেয়।
RTPCR টেস্টের সুবিধে হল ভাইরাস সংক্রমণের প্রায় শুরুতেই সংক্রমণটি ধরা পরে, ফলে চিকিৎসার পাশাপাশি সংক্রমিত মানুষটিকে আইসলেশনে নিয়ে গিয়ে সংক্রমণের মাত্রার রাশ টেনে ধরা সম্ভব। মহামারির শুরুতে মহামারির ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার সাথে রোগ নির্ণয়ে RTPCR পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। RTPCR এর মাধ্যমে ভাইরাসটি অর্থাৎ এন্টিজেন বা বহিরাগত শত্রুটিকে শুরুতেই সরাসরি শনাক্ত করা যায়। এমন অনেক মানুষ আছেন সংক্রমিত হয়ে তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ না করেই দ্রুত ভাল হয়ে যান। সেই ভাল হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি না থাকার কারণে RTPCR এ রোগটি ডিটেক্ট করা সম্ভব হয় না।
এন্টিজেনের পাশাপাশি আমরা আরেকটি শব্দের সাথে পরিচিত, সেটি হচ্ছে এন্টিবডি। আমাদের শরীর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের মত বহিরাগত শত্রুর মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা ব্যূহ রচনা করতে নিজে থেকেই কিছু সৈন্য তৈরি করে। “টিট ফর টেটের” মতই চিহ্নিত শত্রুরকে ধ্বংস করতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই সৈন্যদের বলা হয় এন্টিবডি। এন্টিবডিগুলো মূলত প্রোটিন এবং এই প্রোটিনের জন্ম হচ্ছে প্রয়োজনে অর্থাৎ নির্দিষ্ট এন্টিজেনের উপস্থিতিতে শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহজাত প্রতিক্রিয়া হিসেবে। প্রতিরক্ষামূলক আক্রমণে প্রথমে হাল্কা থেকে মাঝারী পরে তীব্র আক্রমণের জন্যে সৈন্য বিন্যাসের বিশেষ কৌশল থাকে। এন্টিজেন বা ভাইরাসের মত বহিরাগত শত্রুর মোকাবিলায় প্রথমে একশনে যায় যে সৈন্যদল তারা ইম্যুনোগ্লোবিন M (IgM) নামক এন্টিবডি গোত্রের, যা ভাইরাসকে আটকে ফেলবার বা গ্রেফতারের চেষ্টা করে। সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এই চেষ্টার পর সপ্তাহ খানেক গেলে আরো শক্তিশালী সৈন্যদল যারা ইম্যুনোগ্লোবিন G (IgG) নামক এন্টিবডি গোত্রের, তারা সাঁড়াশি আক্রমণ অর্থাৎ শত্রুকে শক্তভাবে বেঁধে ফেলবার মাধ্যমে খতম করার চেষ্টা করে। চেষ্টা সফল হলে রোগী ভাল হয়ে যায় এবং এই সব সৈনিক বা এন্টিবডির উপস্থিতি থেকে যায় রক্তে। রক্তে এন্টিবডির স্থায়িত্ব বিভিন্ন রোগে বিভিন্ন রকম অর্থাৎ স্বল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদী। এই এন্টিবডির উপস্থিতি থেকে জানা যায় সংক্রমণের ইতিহাস। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এন্টিবডি থেকে ইম্যুনিটি প্রাপ্তির বিষয়টিতে এখনো স্থির সিদ্ধান্তে আসার অবস্থা হয়নি।
RTPCR এর মাধ্যমে ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয়ের পাশাপাশি আমরা র্যাপিড টেস্ট/এন্টিবডি টেস্টের কথা শুনে আসছি। গণস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে আর মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এন্টিবডি টেস্ট বা সেরোলজিক্যাল টেস্ট উদ্ভাবনে গণস্বাস্থ্যের সম্পৃক্ততার কথা। পরে অবশ্য রক্ত থেকে এন্টিজেন ডিটেক্ট করার অপ্রচলিত উদ্ভাবনের কথাও গণস্বাস্থ্য আমাদের জানায়। গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড টেস্ট কিট আবিষ্কার ডঃ বিজন শীল, ডাঃ জাফরুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ড্রাগ প্রশাসন ইত্যাদি নানা ঘটনায় র্যাপিড টেস্ট কিট শব্দগুলোও বহুল শ্রুত। গণস্বাস্থ্যের প্রস্তুতকৃত কিটটি একটি কার্যকরী কিট হিসেবে বাজারে আসুক, মানব কল্যাণে ব্রেকথ্রূ উদ্ভাবনে অভিষিক্ত হোক এটি আমাদের প্রার্থনা। কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এই এন্টিবডি টেস্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সরকারী সংস্থা বা বেসরকারী কর্পোরেট কর্তৃক একের পর এক উদ্ভাবিত হয়েই চলেছে। ইতিমধ্যে কয়েক ডজন এন্টিবডি টেস্ট মার্কেটে এসেছে জরুরী অবস্থায় দ্রুততার সাথে রেগুলেটরি স্টেপগুলো পার হয়ে। বিশ্বব্যাপী এন্টিবডি টেস্টের উপচে পড়া আত্মপ্রকাশের মধ্য থেকে সত্যিকারের অর্থে কার্যকরী একটি টেস্ট পাবার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ, সিডিসি এবং এনআইএইচের মত প্রতিষ্ঠান নড়েচড়ে বসেছে সম্প্রতি। সেই সাথে সংস্থাগুলো খবরদারি বাড়িয়েছেন কোয়ালিটির লাগাম টেনে ধরবার জন্যে। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ডজন এন্টিবডি বা সেরোলজিক্যাল টেস্টের মধ্যে মাত্র চারটি এফডিএ এর অনুমোদন পেয়েছে। সবাই টেস্টে উচ্চ মাত্রার সঠিকতার দাবী করলেও এগুলো থার্ড পার্টি বা রেগুলেটরি সংস্থা কর্তৃক মূল্যায়িত হয়নি। সম্প্রতি মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি আর গবেষণায় নামকরা বহুজাতিক কর্পোরেট এবোট যুক্তরাষ্ট্রে এবং পরবর্তীতে ইউরোপে উচ্চমাত্রার এক্যুরেসী দাবী করে। এবোট যুক্তরাজ্যে এন্টিবডি টেস্টের ৯৯% সঠিকটার খবরটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বেশ প্রচার পায়। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় ফলাও করে খবরটি প্রচার করা হয়। খুব দ্রুততার সাথে অসংখ্য টেস্টের সুযোগ বৈশ্বিক মহামারির এই পরিস্থিতিতে আশার আলো বটে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় চোখের আড়ালে থেকে গিয়েছে। বাংলাদেশে বিজ্ঞান বিষয়ে সাংবাদিকতার অবস্থা খুব নাজুক ফলে সাংবাদিকরা “টু দি পয়েন্টে” আলোকপাত করার সক্ষমতা প্রদর্শনের চাইতে বিনোদন সাংবাদিকতার মতই চমক নির্ভর। ঐ রিপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি ছিল কোভিড-১৯ রোগীর উপর পরিচালিত ইম্যুনোগ্লোবুলিন G (IgG) এন্টিবডির এই টেস্টে উচ্চ এক্যুরেসী পাওয়া গিয়েছে লক্ষণ প্রকাশের দুই সপ্তাহ পর টেস্ট করা সাবজেক্ট থেকে অর্থাৎ এখানে এই দুসপ্তাহ সময়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আগেই বলেছি এন্টিবডি IgG সংক্রমণের নির্দিষ্ট সময় পার হবার পর যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয়, ফলে রক্তে এই সৈন্য সমাবেশ যখন আমরা জানতে পারি তখন অনেক সময় পার হয়ে যায়। ইতিমধ্যে সংক্রমিত রোগী সামাজিক সংক্রমণে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেয় বহুজনের মাঝে। রোগ নির্ণয়ে এই বিলম্ব মহামারির নিয়ন্ত্রণের কঠিন পরিস্থিতিতে কতটুকু কাজ দেবে ভাবনার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে মহামারির নিয়ন্ত্রণে আসার পর গবেষণা ধর্মী তথ্যউপাত্ত সংগ্রহে, সংক্রমিত মানুষের মোট সংখ্যা জানবার জন্যে এন্টিবডি টেস্ট বেশী কার্যকরী। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এন্টিবডি টেস্টে শুধু IgG নয় IgM ও নির্ণয় করছে। ভুল পজিটিভ টেস্টের আশঙ্কা, টেস্টের সেন্সিটিভিটি বনাম স্পেসিফিসিটির (স্পর্শকাতরতা এবং নির্দিষ্টতা) মত গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক, এক্যুরেসি বা সঠিকটার শতকরা হার ইত্যাদি নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ রয়েছে। উদ্বেগের সারকথা হচ্ছে সামাজিক সংক্রমণরোধে এই টেস্টের উপকারিতা নিয়ে। ব্যাপক জনসংখ্যার টেস্টের ক্ষেত্রে ভুল নেগেটিভ, ভুল পজিটিভ এর বিপদের পাশাপাশি সঠিক নেগেটিভের ক্ষেত্রে সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে পুনরায় টেস্ট করা উচিত। এমন সব উদ্বেগের ভেতর থেকেও উচ্চ সফলতার কিছু এন্টিবডি টেস্ট বের হয়ে আসছে যা বিপুল সংখ্যার টেস্টের মাধ্যমে সংক্রমিত মানুষের হার নির্ধারণে জন্যে খুবই কার্যকরী। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে RTPCR টেস্টের আগে স্ক্রিনিং টেস্ট হিসেবে উচ্চ মাত্রার এক্যুরেসির এন্টিবডি টেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কোভিড গবেষণায় বেশ মোটা অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করেছেন যার মূল কাজ হবে কয়েক মিলিয়ন কানাডিয়ানদের টেস্টের আওতায় এনে ভাইরাসটি আর সংক্রমিত জনসংখ্যা বিষয়ে বেশী বেশী তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা। এন্টিবডি টেস্ট হবে এই ধরণের টার্গেট টেস্টিং এ প্রধান অবলম্বন।
কোভিড যুদ্ধের দীর্ঘ লড়াইয়ে সংক্রমণ নির্ণয়ে আরটিপিসিআর আর এন্টিবডি টেস্ট উভয়েই অত্যাবশ্যক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই যুদ্ধে কখন কোনটি বেশী কার্যকর এবং তখনই এটির প্রয়োগ বিষয়ে নীতি নির্ধারণী অবস্থান। রাজনীতি, আবেগ, ইগো বা ব্যবসার ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের জন্যে কল্যাণকর পন্থাই সর্বোত্তম। সংক্রমণের শুরুর দিকে রোগটি ধরতে হলে আরটিপিসিআর টেস্ট হচ্ছে গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড এবং সামাজিক সংক্রমণরোধে অপরিহার্য কৌশল। উপসর্গ সহ বা বিহীন সংক্রমিত জনগোষ্ঠীর ভাল হয়ে যাবার পর ভাইরাসের উপস্থিতি দেহে না থাকায় আরটিপিসিআর টেস্ট যেখানে অকার্যকর সেখানে সংক্রমণের ইতিহাস জানার জন্যে এন্টিবডি টেস্টই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। জনসংখ্যার ব্যাপক অংশের টেস্টের ক্ষেত্রে RTPCR টেস্টের স্ক্রিনিং টেস্ট হিসেবে উচ্চ এক্যুরেসির এন্টিবডি র্যাপিড টেস্টের কথা তো ভাবাই যায়। অবশ্য সঠিক নীতি নির্ধারণ, লজিস্টিক আর পেশাদারিত্ব সকল ক্ষেত্রেই সফলতার নিয়ামক।
লেখকঃ ডঃ শোয়েব সাঈদ, কলামিস্ট এবং মাইক্রোবিয়াল বায়োটেক বিষয়ে বহুজাতিক কর্পোরেটে ডিরেক্টর পদে কর্মরত। এবং সিবিএনএ-এর উপদেষ্টা।
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন