প্রবাসের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত । করোনা সত্বেও গ্রোসারিতে রমরমা

যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
লকডাউনের মধ্যেও গ্রোসারিতে ভীড় কমেনি। ছবিটি গত সপ্তাহে ব্রুকলীনের একটি গ্রোসারি স্টোরের। ছবি-এনআরবি নিউজ।

করোনা সত্বেও গ্রোসারিতে রমরমা : রমজানে নেই ইফতার পার্টি
যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
এনআরবি নিউজ, নিউইয়ক:  যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত । করোনা সত্বেও গ্রোসারিতে রমরমা ।। করোনার মধ্যে গ্রোসারিগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করলেও টিকতে পারছে না কমিউনিটিভিত্তিক রেস্টুরেন্টগুলো। বিশেষ করে রমজানে প্রতিবছর রেস্টুরেন্টগুলো যে ব্যবসা করে তা বছরের অন্য ১১ মাসের চেয়েও বেশী বলে মালিকেরা জানান। কিন্তু এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখলে কর্মচারির বেতন দূরের কথা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বিলের সমপরিমাণও বিক্রি হচ্ছে না। এরফলে করোনার কারণে নিউইয়র্কসহ সমগ্র আমেরিকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছে রেস্টুরেন্টগুলো। গত বছর শুধুমাত্র নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ শতাধিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কমপক্ষে ৪০টি মসজিদে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করা হয়েছে মুসল্লীগণের মধ্যে। পারিবারিক আমেজেও ছোট ছোট ইফতার পার্টি হয়েছে। এসব পার্টিতে ইফতারি বক্স সরবরাহ করেছে রেস্টুরেন্টগুলো। অর্থাৎ মিলিয়ন ডলারের অধিক ব্যবসা হয়েছে রমজানে শুধু ক্যাটারিংয়ে। এর বাইরে রয়েছে রেস্টুরেন্টে ইফতার গ্রহণকারি এবং চলতি পথে ইফতারি বক্স ক্রয়কারি। সবকিছু মিলিয়ে দুই মিলিয়ন ডলারের নিশ্চিত ব্যবসা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হলো রেস্টুরেন্টগুলো। এই ঘাটতি পূরণ করা একেবারেই সম্ভব নয় বলে ১৮ মে সোমবার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ব্রুকলীনে মধুবন রেস্টুরেন্টে ইফতারি বাজার। ক্রেতা আসছে কদাচিৎ। ছবি-এনআরবি নিউজ।

নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে বাংলানগর সুপারমার্কেট এবং বনফুল রেস্টুরেন্টের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে এই সিটিতে লকডাউনের ঘোষণা আসার প্রাক্কালে কয়েকদিন ধরেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন কাস্টমাররা। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার চেয়ে মাত্রা ছিল বেশী। সকলেই অতিরিক্ত খাদ্য-সামগ্রি ক্রয় করেছেন। এরপর ২০ মার্চ লকডাউন শুরুর প্রথম সপ্তাহে তেমন ক্রেতা দেখিনি। কিন্তু এখন আবার বেড়েছে। কারণ, আগের কেনা খাদ্য-সামগ্রি ফুরিয়ে গেছে। ঘরের বাইরে বের হবার অনুমতি না থাকলেও খাদ্য-সামগ্রি ক্রয়ের জন্যে সকলেই আসছেন। ফলে গ্রোসারি ব্যবসায় তেমন একটা মন্দাভাব আমি দেখছি না। তবে রেস্টরেন্ট ব্যবসায় ধস নেমেছে। চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশনের (সিএমএমবিবিএ)’র নেতা আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, রমজান উপলক্ষে কমিউনিটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী-আঞ্চলিক সংগঠন ছাড়াও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি হতো। মসজিদে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করার জন্যে রেস্টুরেন্ট থেকে তা ক্রয় করা হতো। রেস্টুরেন্টে দলবেধে বসেও অনেকে ইফতার করতেন। এবার কিছুই নেই। আনোয়ার হোসেন বললেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন আইটেমের পণ্য তৈরী করছি ইফতারের জন্যে। মূল্যও তুলনামূলকভাবে কম ধার্য করেছি। কিন্তু কাস্টমার নেই।

উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী তথা দক্ষিণ এশিয়ানদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সবচেয়ে বড় ‘খাবার বাড়ি’ রেস্টুরেন্ট এবং জ্যামাইকায় খামার বাড়ি সুপার মার্কেটের মালিক মো. কামরুজ্জামান কামরু বলেন, গ্রোসারি ব্যবসা ভালোভাবেই চলছে। তবে বিপদে রয়েছি রেস্টুরেন্ট নিয়ে। প্রতিদিনই বিপুল অর্থ লোকসান দিতে হচ্ছে। কারণ, ইফতার পার্টি নেই, ক্যাটারিং নেই, ফ্লোটিং কাস্টমারও আসছেন না। সকলেই গৃহবন্দি বিধায় কাচামাল গ্রোসারি থেকে ক্রয় করে ঘরেই তৈরী করছেন সবকিছু।

জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ)’র সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কামরু আরো বলেন, অথচ প্রতি রমজানের ৩০ দিন যে ব্যবসা হতো তা বছরের অন্য ১১ মাসের চেয়েও বেশী ছিল। এরফলে যারা শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল তাদের পক্ষে টিকে থাকা সত্বি কষ্টকর হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার পরও রেস্টুরেন্টের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসন সাজাতে হবে। অর্থাৎ তারপরও ব্যবসায়িক সংকট কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।

নিউইয়র্কে রসগোল্লার জন্যে জনপ্রিয় ‘আব্দুল্লাহ সুইটস’র মালিক সুলতান আহমেদ বলেন, লোকসানের কারণে জ্যাকসন হাইটসের রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি। খোলা রয়েছে ব্রুকলীচে চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডস্থ রেস্টুরেন্ট। কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় কর্মচারি বেতন এবং রেস্টুরেন্টের বাড়ি ভাড়া কোত্থেকে আসবে সেটিই ভাবনার বিষয়। করোনায় স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলায় এখন পর্যন্ত সুস্থ থাকলেও রেস্টুরেন্ট দুটির মাসিক ভাড়া নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত । করোনা সত্বেও গ্রোসারিতে রমরমা ব্যবসা হওয়াতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়িরা বিকল্প চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, জ্যামাইকা, ওজনপার্ক, নিউকার্ক, চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড, পার্কচেস্টার, ম্যানহাটানের সিক্সথ স্ট্রিট, লেক্সিংটন এভিনিউ, মিডটাউন ম্যানহাটান প্রভৃতি এলাকায় বাংলাদেশী মালিকানাধীন শতাধিক রেস্টুরেন্টের প্রতিটি বিরাট লোকসানের মুখে। অনেকেই ব্যা্ক্রংাপসী ঘোষণার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। কারণ, করোনা স্টিমুলাম অনুযায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণ পেতে যেসব ক্রাইটেরিয়া থাকা দরকার, তার অধিকাংশই নেই এসব রেস্টুরেন্টের। প্রায় প্রতিটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারিই নগদে সাপ্তাহিক বেতন নিয়েছেন।

এদিকে, পোয়াবারো হয়েছে গ্রোসারি ও সুপারমার্কেটগুলোর। তারা করোনার আভাস পাবার পরই ক্রেতা বেড়ে যাওয়ায় সবপণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বর্ধিত মূল্য এখনও অব্যাহত থাকায় ক্রেতা সাধারণেরও গা সওয়া হয়ে গেছে।

সরকারী শ্রম দফতরের সরেজমিন অনুসন্ধানভিত্তিক এক জরিপে মঙ্গলবার উল্লেখ করা হয়েছে, মাংস, দুধ, ডিম, চাল, ডাল, মাছ, বেকারি পণ্য, ফল-মূল, শাক-সব্জি, সিরিয়াল, চিনি, মধুসহ সবকিছুতেই ৩% থেকে ৯% পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। ডিমের দাম ১৬% বৃদ্ধিকে শত বছরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এমন ঘটনা বলে অভিহিত করা হয়েছে। অথচ সবকিছুরই সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতা সবদেশী সুপারমার্কেটেই ঘটেছে। ফুড ইন্ডাস্ট্রি এনালিস্ট এবং সুপারমার্কেট গুরুর সম্পাদক ফিল লেমপার্ট এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, লকডাউন পুরোপুরিভাবে উঠিয়ে নেয়ার পর দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক হবে বলে কেউই মনে করছেন না। কারণ, কৃষক থেকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকারি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণকারি থেকে গ্রোসারি স্টোর পর্যন্ত সকলেই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন সামনের দিনের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে নিজ নিজ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে। আরেকটি বিষয়ে সকলের মনোযোগ রয়েছে যে, লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার পরও প্রতিটি কর্মচারিকে ৬ ফুট অন্তর অবস্থান করে কাজ করতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশও বহাল থাকবে বহুদিন ধরে। ফার্মে ঢুকতেই সেনিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। দোকানে ক্রেতা ঢুকানোর জন্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সিকিউরিটি গার্ড লাগবে। ক্যাশিয়ারের সামনে প্লেক্সিগ্লাস ব্যারিয়ার লাগাতে হয়েছে ক্রেতার সাথে ক্যাশিয়ারের দূরত্ব নিশ্চিতের জন্যে। এসব বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির বিকল্প থাকবে না। লেমপার্ট উল্লেখ করেছেন যে, এধরনের পরিস্থিতি সামলে উঠতে দুই/তিন বছর সময় লাগবে সর্বস্তরে। এরপরই হয়তো মনে হতে পারে যে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া-সৌদি আরব-কাতার-বাংলাদেশের ১৬০ বিজ্ঞানীর ভার্চুয়াল কনফারেন্স
করোনার মত দুর্বিসহ পরিস্থিতি রোধে
ঢাকায় ‘বাংলাদেশ মাইক্রোবায়োলজি কাউন্সিল’ স্থাপনের সংকল্প

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক : ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মত ভয়ংকর অদৃশ্য শত্রæকে যথাযথভাবে মোকাবেলায় বিজ্ঞানভিত্তিক পলিসি তৈরীতে সরকারকে সহায়তার জন্য ‘বাংলাদেশ মাইক্রোবায়োলজি কাউন্সিল’ স্থাপনে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য অনুজীববিজ্ঞানীরা (মাইক্রোবায়োলজিস্ট) একমত পোষণ করেছেন। গত ৯ মে শনিবার এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ইউএসএ, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, কাতার এবং বাংলাদেশ থেকে ১৬০ জনের অধিক অনুজীববিজ্ঞানী অংশ নিয়ে দীর্ঘ ৪ ঘন্টাব্যাপি আলোচনা-পর্যালোচনার পর প্রিয় মাতৃভ’মির প্রতি দায়বদ্ধতা ঘুচাতে এমন সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। চলমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ এই জুম মিটিংয়ের বিস্তারিত তথ্য ১৮ মে সোমবার নিউইয়র্কে এ সংবাদদাতাকে জানান যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা নোভার্টিস ফার্মাসিউটিক্যালের বিজ্ঞানী ড. সুবর্ণা খান । উল্লেখ্য, এ মিটিংয়ের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞানী ড. সুবর্ণা খান। সঞ্চালনায় ছিলেন ভার্জিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. পারভেজ আকতার (Dr. Subarna Khan, Novartis Pharmaceuticals) । ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার ইমার্জিং প্যাথোজেন ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. মোহাম্মদ হারুন-অর রশিদ ((Dr. Mohammed Harunur Rashid, Emerging Pathogens Institute, University of Florida) )তার প্রতিষ্ঠানে ‘কোভিড-১৯’ পরীক্ষার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের উদ্যোগে এই জুম মিটিং এর আয়োজন করা হয়। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বর্তমান ছাত্র , শিক্ষক, এলামনাই ও পেশাদার মাইক্রোবায়োলজিস্টদের একত্র করার উদ্দ্যেশ্যে এ আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশে কোভিড-২৯ মোকাবেলায় নানামত, নতুন আইডিয়া ও কর্মপরিকল্পনা। বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় শুরু হয়ে দীর্ঘ এ আলোচনায় মূলত: করোনার মত ভয়ংকর রোগের দ্রুত সংক্রমণ নিয়ে খোলামেলা কথা হয় নিজ নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে।

আলোচনার প্রথম পর্বে ১৭ জন বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মত তুলে ধরেন। নানা লেভেলে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলো উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, শিক্ষক ড. আনোয়ারা বেগম, ড. সংগীতা রহমান, ড.মোজাম্মেল হক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. ইকবাল কবির জাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট মাইক্রোবায়োলজি বিভাগসমূহের কাজ তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ারা বেগম তার সংগঠনের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। আইসিডিডিআরবি এর ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ড. মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান কিভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সাহায্য করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষক ড. মাসমুদুর রহমান (Dr. Masmudur Rahman (Bio design Institute, Arizona State University, USA), , যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ট্যাক্ট জিনোমিকস, ইউএসএ এর গবেষক ড. মোঃ নুরল ইসলাম (Dr. Md Nurul Islam , Intact Genomics, USA), যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাবোট ল্যাবোরেটরিজের গবেষক ড. খন্দকার আল জায়েদ সিদ্দিকি (অননড়ঃঃ খধনড়ৎধঃড়ৎরবং) ও ঢাকার ইনডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সরোয়ার হোসেন গবেষণা ও কোলাবরেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তারা কোভিড-১৯ এর মত ইনফেকশাস রোগ সহ কিভাবে নতুন নতুন ইনফেকশাস রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। বেশ কয়েকজন এলামনাই এডভোকেসি স্ট্র্যাটেজি ও কলাবোরেশনের সুযোগের কথা তুলে ধরেন। জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলা বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. শাহনুর হোসেইন, আইসিডিডিআরবির ভাইরোলজির গবেষক মুনতাসির আলম , ইউএসএইডের প্রজেক্ট ম্যানেজার সরদার তানজীর হোসেন (ঝধৎফবৎ ঞধহুরৎ ঐড়ংংধরহ, ঝবহরড়ৎ ঞই উরধমহড়ংঃরপং ঝঢ়বপরধষরংঃ রিঃয ওহভবপঃরড়ঁং উরংবধংবং উবঃবপঃরড়হ ধহফ ঝঁৎাবরষষধহপব (ওউউঝ) চৎড়লবপঃ ঁহফবৎ ঋঐও ৩৬০, টঝঅওউ), বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি নাজিজা রহমান, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসের মনোজিত রায় ও ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষক ড. হাসান জাকির (উৎ. ঐধংধহ তধশর, টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঞবীধং, ঝড়ঁঃযবিংঃবৎহ গবফরপধষ ঈবহঃবৎ) ।

করোনা সেন্টারের টেস্টিং ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা বিকন ফার্মার রাইসুল ইসলাম তার অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন এলাকা ও মেডিকেল কলেজ হতে স্যাম্পল কালেকশনের জন্য টেকনোলজিস্টদের তারা প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। এসব স্বেচ্ছাসেবি নিঃস্বার্থভাবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এসব কাজ করছেন। এ সময়ে ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের করোনা মোকাবেলায় অবদানকে স্বীকৃতি জানানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাইক্রোবায়োলজিস্টদের এ স্বেচ্ছাসেবি কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্ট (বিএসএম)কে পত্র দিয়েছে। উল্লেখ্য, এমন মহামারির সময়ে স্বেচ্ছাসেবার ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য আরো অনেক মাইক্রোবায়োলজিস্ট একাজে নিযুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

মিটিং এ অংশগ্রহণ কারীরা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ও ভবিষ্যতের জনস্বাস্থ্য সংকটে একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অনেকে হতাশার সাথে উল্লেখ করেন যে, সরকার এখনো মাইক্রোবায়োলজিস্টদের যথেষ্ঠ স্বীকৃতি দিতে পিছিয়ে আছে। বৈজ্ঞানিক পলিসি তৈরিতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য ও স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় যযথাযথ ভূমিকা পালনের নিমিত্তে অদূর ভবিষ্যতে ‘বাংলাদেশ মাইক্রোবায়োলজি কাউন্সিল’ স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। কোভিড মোকাবেলায় বিভিন্ন বায়োসেফটি ট্রেনিং মডিউল তৈরি, স্বেচ্ছাসেবীদের বায়োসেফটি প্রশিক্ষণ প্রদান করার সিদ্ধান্তও গৃহিত হয়। পাশাপাশি গার্মেন্টস, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক ও কর্পোরেট হাউজগুলোকে সাধারণ পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও গুরুত্ব পায় এ সভায়।
মিটিংটিকে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে অভিহিত করা যায়। যথাযথ মিশন, ভিশন, কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করা যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়।

 

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন