সাহিত্য ও কবিতা

দু’টি ছড়া কবিতা ।।  এক. আম্ফানের তান্ডব  দুই. পাড়ার দুষ্ট ছেলে

বিশ্বজিৎ মানিকের  দু’টি ছড়া কবিতা ।।  এক. আম্ফানের তান্ডব  দুই. পাড়ার দুষ্ট ছেলে

 


আম্ফানের তান্ডব 

বিশ মে বুধবার – সাল দুই হাজার বিশ
সাগরে শোনা গেল – এক ভয়াবহ শিস।

আম্ফান নামে এলো – শক্তিশালী ঝড়
নিমেষেই করে দিলো – ধ্বংস বাড়ি ঘর।

উপকূলের মানুষেরে – বানিয়ে বেতাল
সাগর হয়ে গেলো – প্রচন্ড উত্থাল।

নামটি দেয়া হলো – সুপার সাইক্লোন
ছবি দেখে মনে হলো – যেন সে টাইফুন।

বন্দরে দেয়া হলো – মহা বিপদ সংকেত

দুই শত কিলো ছিল – ঝড়ের গতিবেগ।

যতো ছিলো উপকূলে – আশ্রয় শিবির
করোনার মাঝেও ছিলো – মানুষের ভীড়।

ইহা ছিলো ইতিহাসের – ভয়াবহ দুর্যোগ
মানুষ বাঁচাতে ছিলো – সরকারের  উদ্যোগ।

উপকূলের জেলা গুলো – করে লণ্ডভণ্ড
ছিলো যেন এই ঝড় – দৈত্যরূপ পাষণ্ড।
কৃষিক্ষেত্র, মৎস্যক্ষেত্র – করে দেয় ধ্বংস
আম্ফান যেন এক – মথুরার কংস।

আশ্রয় শিবির গুলো – হয় লোকারন্য
সর্বনাশা করে ধ্বংস – লোকালয় অরণ্য।

চব্বিশ লক্ষ লোক ছিলো – আশ্রয় শিবিরে
এদেরে ও থাকতে দেয়নি – আম্ফান নিরবে।

বুধবার রাতেই তার – হলো অভিষেক
কেড়ে নিল তাজা প্রাণ – গোটা বিশে’ক।

পশু পাখি কতো মারে – হাজারে হাজার
বাস্তুভিটা ধ্বংস করে – ফেলে বেশুমার।

সরকারের হিসাবেই হয় – হাজার কোটি ক্ষতি
জরুরী বরাদ্দ দিলেই – ফিরে পাবে গতি।

সুন্দরবন ছিলো এক – সাগর বেষ্টনী
নাহলে ভাসিয়ে নিতো – জলোচ্ছ্বাসের পানি।

উপকূল রক্ষায় আছে – এর অবদান
আমরা কি দিয়ে থাকি – তাকে প্রতিদান?

সিডর, আইলা, ফণী – যতো বিপদ আসে
সুন্দরবন আছে সদাই – মানুষের পাশে।

দেশের এ মহা সম্পদ – হবেই রক্ষা করতে
নতুবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় – নিরবে সহিতে।

২৩/০৫/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
পাড়ার দুষ্ট ছেলে 

বাবুদের পাড়ায় আছে – ছেলে এক দুষ্ট
আগেকার দিনেই সে – ছিল খুব নষ্ট।

স্কুল পালানো, তার ছিল – নৈমিত্তিক কাজ
বাড়ি থেকে বের হতো – করে খুব সাঁঝ।

চলনে ছিল না যার – ভালো কোনো আচার
নালিশেও হতো না তার – উপযুক্ত বিচার।

স্বভাব চরিত্রে ছিল – সে এক পাষণ্ড
জন্মের পর থেকেই – অকাল কুষ্মাণ্ড।

অভাব ছিল তার – নীতি নৈতিকতার
তার কাছে কেউ যেন – পেতো না নিস্তার।

দুর্বল দেখেই সে – করতো নিপীড়ন
কষ্ট সাধ্য ছিল করা – তাকে নিয়ন্ত্রণ।

হেন কোনো কাজ নেই – যা পারেনা সে
উত্তেজিত হতে পারতো – চোখের নিমেষে।

মানবতা কাকে বলে – ছিল না তার জানা
স্থির করেই লক্ষ্যে সে – দিতো কিন্তু হানা।

অপকর্ম করে একদিন – বিপদে সে পড়ে
নির্যাতিত যারা ছিল – জেগে তারা উঠে।

পাড়ার লোকেরা একদিন – পরামর্শ করে
তাকে পাঠিয়ে দিলো – দ্রুত শ্রীঘরে।

সেখান থেকে অর্থদণ্ডে – বের হয়ে আসে
বাড়িতে এসেই আবার – অট্টহাসি  হাসে।

যারা ছিল নির্যাতিত – তারা প্রমাদ গুণে
ক্ষতি কিছু হতে পারে – কানাঘুষা শুনে ।

বিজ্ঞ জন বলে থাকেন – যারা মন্দ লোক
তাদের নিকট তুমি কভু – পাবেনা তো সুখ।

নষ্ট লোকেরা, নাকি হয় – সমাজে সবল
যাকে তাকে দিতে পারে – প্রয়োজনে ছোবল।

শোষিতের মাঝে যদি – ঐক্য হয়ে থাকে
শোষকের ধ্বংস জানো – হবে কোনো ফাঁকে।

পাড়াতে আছো যারা – হিন্দু মুসলমান
এক সাথে থেকে, রাখো – পাড়া টির  মান।

সমাজের লোকের কাছে – নিবেদন করি
সকলের মাঝে ঐক্য – গড়ো তাড়াতাড়ি।

না হলে ক্ষুন্ন হবে – এলাকার সুনাম
বয়ে নিতে হবে সবে – মাথায় দুর্নাম।

২২/০৫/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।

 


 

 

সিবিএনএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন