সংসদ সদস্য কাজী শহীদ পাপুল -ফাইল ছবি
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহীদ পাপুলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ আনলেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।
টুটট বার্তায় তিনি এটিকে এশিয়ার মধ্যে ‘সবচেয়ে বড়’ মানবপাচারের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে এই মানব ও অর্থ পাচারের সঙ্গে কুয়েত সরকারের কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি।
আনাস আল-সালেহ একাধিক টুইট বার্তায় বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে অভিবাদন পাওয়ার মতো কাজ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা। তারা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় মানব পাচারের ঘটনা প্রকাশ করেছে। তদন্তে সন্দেহভাজনের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা বা বিশিষ্ট কারও নাম এলে তাদেরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে। কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের পাবলিক প্রসিকিউশনে পাঠানো হবে।’
এদিকে অপর এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশি এমপি’র সঙ্গে কুয়েতের কারা জড়িত আছেন তাদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্য আবদুল করিম আল-কানদারি।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশি এমপির নাম প্রকাশ করলেই হবে না, কুয়েতের প্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এটা এখন জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়।’
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে। এরপর তাকে আট দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ।
পরে আটক করা হয় পাপুলের প্রতিষ্ঠান মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুর্তজা মামুনকে। তদন্ত চলার মধ্যে পাপুলের কুয়েতের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল অংকের টাকার চেক জব্দ করার খবর দিয়েছে কুয়েতের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
সি/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন