কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন

কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন 

অটোয়া ১০ জানুয়ারী।।  জাতির পিতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান সরকারি কার্য পালনে বাংলাদেশে অবস্থান করায় সেখান থেকে তিনি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ঢাকা হতে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ কর্তৃক পাঠ করে শুনানো হয়বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় ৷

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন অত্র হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব হারুন আল রশিদতিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা ও পড়ার বিকল্প নেইতিনি বঙ্গবন্ধুর স্বরচিত বিখ্যাত তিনটি পুস্তক এবং বঙ্গবন্ধু উপর রচিত বিভিন্ন পুস্তক পড়ার ও জানার জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, টরেন্টো, কানাডায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল ও অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জনাব মো: লুৎফর রহমান। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের উপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই মূলত বিজয়ের পরিপূর্ণতা পেয়েছেবিশেষ এ আলোচনা অনুষ্ঠানে মান্যবর হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নুর চৌধুরী কানাডার মত সভ্য দেশে অবস্থান করাকে খুবই দু:খজনক বলে উল্লেখ করেন। নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার বিষয়ে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মান্যবর হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন যে, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না এবং তাঁর প্রত্যাবর্তনের পরবর্তী সময়ে নবগঠিত বাংলাদেশের অভুতপূর্ব উন্নয়নের কথা স্মরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে তিনি সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 


এসএস/সিএ

 


সর্বশেষ সংবাদ

 

 

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন