‘অবৈধ’ বিয়ের অভিযোগে ইমরান খান, বুশরা বিবিকে তলব!
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির “অবৈধ” বিয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলাকে গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। জিও নিউজ মোতাবেক, বিচারক দম্পতিকে নোটিশ জারি করে ২০ জুলাই তলব করেছেন।
এর আগে, ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) মুহাম্মদ আজম খান মামলাটি দেওয়ানি বিচারকের কাছে রিমান্ডে পাঠান। আরও একটি দেওয়ানী আদালতের রায়ে বিবাহের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা হয়। মুহাম্মদ হানিফের দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে বুশরা বিবি তার প্রাক্তন স্বামীকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তালাক দিয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি খানকে বিয়ে করেছিলেন, যদিও তার ইদ্দতকাল শেষ হয়নি যা শরিয়ত এবং মুসলিম রীতিনীতির বিরোধী। ইমরান ও বুশরার মধ্যে বিয়ে পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ এবং ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা বিয়ের অন্যতম সাক্ষী আউন চৌধুরীর বিবৃতি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। সব কিছু জানা সত্ত্বেও, ইমরান খান বুশরার ইদ্দতের সময় তাঁকে বিয়ে করেছিলেন।
এর আগে, সাঈদ একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তিনি প্রাক্তন ফার্স্ট লেডির বোন বলে দাবি করা একজন নারীর আশ্বাসে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী বুশরা বিবির সাথে খানের নিকাহ সম্পন্ন করেছিলেন। তারপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার সাঈদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বুশরা বিবির সাথে তার নিকাহ অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন যা শরিয়ত বিরোধী ছিল। তিনি দাবি করেছেন যে বুশরা বিবির ইদ্দত প্রথমবার যখন নিকাহ হয়েছিল তখন শেষ হয়নি। তিনি প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে বুশরা বিবির ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এবং পিটিআই চেয়ারম্যান যদি বুশরা বিবিকে বিয়ে করেন তবে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন “ভবিষ্যদ্বাণী” খবর প্রকাশ্যে আসে। “ভবিষ্যদ্বাণী” -এর ভিত্তিতে সম্পন্ন করা নিকাহকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন ইমরান ও বুশরার মধ্যে বিয়ে পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট