আকাশপথে প্রাণ গেলো প্রবাসীর, ক্যুইবেকে জরুরি অবতরণ । ফেরা হলোনা নিউ ইয়র্কে
অধিকাংশ বাংলাদেশি যাত্রী নিয়ে ১৮ আগস্ট নিউইয়র্কগামী টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট কানাডার কুইবেক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটে থাকা একজন বাংলাদেশি যাত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
জানা গেছে, ওই ফ্লাইট ৩৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে নিউইয়র্ক যাচ্ছিল। ফ্লাইটটি নিউইয়র্কের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। যাত্রীরা জেএফকে বিমানবন্দরে নামার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই পাইলটের আচমকা ঘোষণা আসে, একজন যাত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে জরুরি অবতরণ করতে হবে।
এ ঘোষণায় যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। ওই ফ্লাইটে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার লেখক মাহবুবুর রহমান সস্ত্রীক নিউইয়র্ক আসছিলেন। তিনি বলেন, ফ্লাইটে জীবনে এক নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। ফ্লাইটে একজন যাত্রীর জীবন সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা হয়, এ নিয়ে আগে কোনো ধারণা ছিল না। তাঁর পাশের আসনেই সপরিবারে বাংলাদেশ থেকে আসছিলেন শাহাজান সরকার ও তাঁর স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম। নিউইয়র্কে অবতরণের কিছুক্ষণ আগেই দেলোয়ারা বেগম আসন থেকে ঢলে পড়ে যান। এ খবর ককপিটে পৌঁছানো মাত্র পাইলটের ঘোষণা আসে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে কানাডার কুইবেক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ফ্লাইট ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, দমকল, চিকিৎসকসহ অন্তত ১৫ জনের একটি দল দ্রুত বিমানে প্রবেশ করে। মুমূর্ষু দেলোয়ারা বেগমকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে অন্য যাত্রীদের নিয়ে টার্কিশ এয়ারের ফ্লাইটটি ১৮ আগস্ট রাত ১০টার দিকে জেএফকে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
শাহাজান সরকার কুইবেক হাসপাতালে স্ত্রীকে রেখে এসে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সেখানে নিউইয়র্ক থেকে কীভাবে স্ত্রীর খোঁজ নেবেন, এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন। স্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা জানারও চেষ্টা করছেন শাহাজান সরকার।
#প্রথম আলো থেকে সংকলিত
সর্বশেষ আকাশপথে প্রাণ গেলো প্রবাসীর, ক্যুইবেকে জরুরি অবতরণ
সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে, গতকাল বাংলাদেশ থেকে নিউ ইয়র্ক আসার পথে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ নিবাসী মোসাঃ দেলোয়ারা বেগম প্লেন এ স্ট্রোক করে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আকাশে প্লেনের ভিতর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে প্লেনটি কুইবেক সিটিতে জরুরি অবতরণ করে। মৃতদেহ বর্তমানে সেখানে একটি হসপিটালে আছে। মরহুমের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী পুত্র কমুনিটির সহযোগিতা চেয়েছেন তার মায়ের মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যাবস্থা করার জন্য এবং এ ব্যাপারে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। লাশ প্রেরণের যাবতীয় ব্যয় তার পুত্র বহন করবে।