প্রবাসের সংবাদ ফিচার্ড

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবসের গোল-টেবিল বৈঠক

ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবসের গোল-টেবিল বৈঠক

ইস্তাম্বুল,  ১৩ আগস্ট ২০২১:  ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে কনস্যুলেটর ফ্রেন্ডশিপ হলে আজ ১৩ আগস্ট ২০২১ ‘ ভিশন অফ দ্যা লিদার এন্ড অ্যাস্পিরিশন অফ দ্যা পিপল ‘ শীর্ষক একটি গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।  কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ, ফাতিহ সুলতান মেহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজমি ওজজান এবং বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র হুরিয়েতের বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব মুসা কেসলার। এছাড়াও, গাম্বিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রিসার্চ সেন্টার ফর ইসলামিক হিস্ট্রি, আর্ট এবং কালচার এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জনাব আবুবকর আব্দুল্লাহ, ক্ষমতাসীন এ.কে. পার্টির ইস্তাম্বুল শাখার ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব ফারিহ শাহিন, ইস্তাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক ড. মেহমেত ইলমাজ, ইস্তাম্বুল বার কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক প্রধান মেতিন উরাচিন সহ উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, থিংক ট্যাঙ্ক, সাংবাদিক এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে বৈঠকের সূচনা করা হয়। কনসাল জেনারেল জনাব ইসলাম তার সূচনা বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির  পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।  বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভূদয়ে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অসামান্য অবদানের বর্ণনা দেন। প্রসঙ্গতই, তিনি ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষিত বর্ণনা করে বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক কালজয়ী ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় এ বক্তব্যটি এখন বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর প্রতি বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে বিশ্বশান্তি ও অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধুর অবদান উল্লেখ করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আলোচকবৃন্দ বিশ্ব মানচিত্রে বংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর অপরিশীম ত্যাগ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার কথা স্মরণ করেন। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. ওজজান বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার ঐতিহাসিক যোগসূত্রের এক প্রাঞ্জল বর্ণনা দেন। তিনি খেলাফত আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমি বর্ণনাপূর্বক তুরস্কে স্বাধীনতা সংগ্রামে উপমহাদেশের বাঙালিদের সর্বাত্ত্বক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। দু’দেশের জনগণের মধ্যকার  পারস্পারিক অনূভূতির গভীরতা ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা একজনের জয়ে আরেকজন উচ্ছ্বসিত এবং একজনের দুঃখে আরেকজন সমব্যাথী হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-দর্শন, চিন্তা-চেতনা, সংগ্রাম-কর্ম সকলের জন্য শিক্ষণীয় বলে উপস্থিত বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।  নিপীড়িত ও নির্যাতিত জনগনের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য বঙ্গবন্ধু নিবেদিত প্রাণ ছিলেন বলে বক্তারা যোগ করেন। জনাব উরাচিই বাংলাদেশের বিরাজমান গনতন্ত্র, ধর্মীয় সম্প্রীতি, শান্তি ও নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ডের সাথে তুলনা করেন।  এছাড়াও বক্তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে দারিদ্র-দূরীকরণ, অভিবাসন, দুর্যোগ প্রশমন ও ব্যবস্থপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও যুগোপযোগী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

কনস্যুলেট আগামী ১৫ আগস্ট ২০২১ ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করবে।  এছাড়াও, উসকুদার মিউন্যাসিপিলিটির যুব ক্লাবের সাথে আগামী আগস্ট ২০২১ বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবন-সংগ্রাম-কর্মের উপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন