কানাডার সংবাদ ফিচার্ড

ঈদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে ট্রলের শিকার কানাডার প্রধানমন্ত্রী,

ঈদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে ট্রলের শিকার কানাডার প্রধানমন্ত্রী, ‘ইসলামাইজড কানাডা’ নিয়ে বিতর্ক!

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা আয়োজিত ঈদুল আজহার এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। সেখানে ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ঈদের বার্তা এই কক্ষে, এই শহরে প্রতিফলিত হয় এবং এটি সব কানাডিয়ানদের কাছেও পৌঁছানো উচিত… ঈদের শিক্ষা ও মূল্যবোধ সর্বজনীন। আমাদের কানাডা একটি বহুজাতিক, বহু-সংস্কৃতির দেশ, যেখানে ভিন্ন মত, ভাষা ও সংস্কৃতি একত্রে বসবাস করে। আমরা আলাদা ধর্মে প্রার্থনা করলেও ঈদের মূল্যবোধে সবাইকে একত্র হতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সম্প্রদায়, উদারতা এবং ত্যাগ — এই তিনটি ঈদের মূল শিক্ষা। এগুলো মুসলিমদের মূল্যবোধ, আবার একইসঙ্গে এগুলো কানাডারও মূল্যবোধ।”

তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X-এ (পূর্বতন টুইটার) ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে একে ‘ইসলামাইজড কানাডা’ বলে ব্যঙ্গ করছেন। একটি ভাইরাল পোস্টে বলা হয়, “কানাডা কি শেষ হয়ে গেল?”

অন্য একজন লিখেছেন, “ইস্টারের সময় প্রধানমন্ত্রী যিশুখ্রিষ্টের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি, বরং একে বসন্তের নতুন শুরুর উৎসব বলেছিলেন এবং ডিম রঙ করেই অনুষ্ঠান সেরেছিলেন। কিন্তু ঈদের সময় তিনি ইসলামিক মূল্যবোধকে কানাডার সঙ্গে মিলিয়ে দেখাচ্ছেন।”

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক রূপা সুব্রামানিয়া এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে X-এ লেখেন, “ইসলামিক মূল্যবোধ কখনোই কানাডার মূল্যবোধ নয়। এটা বলার মধ্যে কোনো বিদ্বেষ নেই।”

আরও একজন মন্তব্য করেন, “কানাডা গঠিত হয়েছে খ্রিস্টধর্মের ভিত্তিতে। মুসলিম, হিন্দু বা অন্য কোনো তথাকথিত প্যাগান ধর্মের ভিত্তিতে নয়। ফরাসি ও ইংরেজরা এই দেশ গড়েছে, এটি পশ্চিম ইউরোপীয় খ্রিস্টান জাতির একটি অংশ। মুসলিম মূল্যবোধ কখনোই কানাডার মূল্যবোধ ছিল না, না হবেও।”

সবচেয়ে চরমপন্থী এক মন্তব্যে বলা হয়, “না, মার্ক কার্নি। মুসলিম মূল্যবোধ কখনোই কানাডার মূল্যবোধ ছিল না, এবং আমরা কখনোই তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবো না। ‘জিহাদিস্ট’ সংস্কৃতির প্রসার ঠেকাতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কানাডার রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নতুন করে ধর্মীয় সহনশীলতা বনাম জাতীয় পরিচয়ের বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে।

এসএস/সিএ
সংবাদটি শেয়ার করুন