দেশের সংবাদ ফিচার্ড

কমলগঞ্জে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ

কমলগঞ্জে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ

সজীব দেবরায়:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ। হঠাৎ করে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট ডাক্তারের চেম্বারে প্রতিদিন চোখ ওঠা রোগীদের চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। কমলগঞ্জের প্রায় ঘরে ঘরেই এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পরিবারের একজন এ রোগে আক্রান্ত হলেই দ্রুত অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে আর বর্ষায় ও ঋতু পরিবর্তনে অনেক সময় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চোখের একেবারে বাইরের স্বচ্ছ অংশটির চিকিৎসাবিজ্ঞানের নাম ‘কনজাংকটিভা’। ভাইরাসের সংক্রমণে সেখানে তৈরি হয় প্রদাহ, ফুলে যায় চোখের ছোট ছোট রক্তনালি। ফুলে থাকা রক্তনালি গুলোর কারণেই চোখের রং লালচে হয়ে যায়, যেটাকে চোখ ওঠা বা ‘কনজাংকটিভাইটিস’ বলা হয়।

জানা যায়, কমলগঞ্জের বেশিরভাগ ঘরেই এখন চোখ ওঠা রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে বেড়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিভিন্ন বয়সী আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে শিশু-কিশোর। সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কনজাংটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহার্য বস্তু যেমন রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে অন্যরাও এতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া কনজাংটিভাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি প্রাইভেট ডাক্তার, পল্লী চিকিৎসক ও বিভিন্ন ফার্মেসীতে চোখ ওঠা রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কয়েকজন চোখ ওঠা রোগীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হলে চোখে প্রচুর জ¦ালা যন্ত্রনা হয়। চোখ দিয়ে পানি ও পেঁচরা পড়ে। অনেকাংশে চোখে খুচা খুচা অনুভব হয়। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলেই অন্যরাও এ রোগে আক্রান্ত হন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, চোখ ওঠা একটি মওসুমী ভাইরাস জনিত রোগ। এটি একধরণের ছোঁয়াচে রোগ। এটি একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পরে। এই রোগটি সাধারণত ৩-৪ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ লাগতে পারে। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চোখ ওঠা রোগের ক্ষেত্রে চোখের ড্রপার ব্যবহার করতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে যারা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন তারা হাসপাতাল থেকেই সরকারী ড্রপার নিতে পারছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ড্রপার ব্যবহার করলে অব্যশই এর মান ও মেয়াদ দেখে ব্যবহার করা শ্রেয়।

তিনি আরো বলেন, এই রোগটিতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একটু সতর্ক থাকলে ও চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করলে সহজেই সেরে যায়। এই রোগটিতে একজন আক্রান্ত হলে বাড়ির ও আশেপাশের সবাই আক্রন্ত হয়ে যায়। ভাইরাসজনিত রোগ যেহেতু নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যারা রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছে তারা যেন কালো চশমা ব্যবহার করেন ও সুস্থ মানুষ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, তাহলে এই রোগটির প্রকোপ কমতে থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

 

সংবাদটি শেয়ার করুন