সাহিত্য ও কবিতা

গরম খুন্তির ছেঁকা |||| বিশ্বজিৎ মানিক



গরম খুন্তির ছেঁকা |||| বিশ্বজিৎ মানিক


যে বয়সে থাকার কথা – মেতে চঞ্চলতায়

দিনরাত কাটে শিউলির – খাবারের ভাবনায়।


বয়সটা হবে তার – নয় কিবা দশ

এখনো হয়নি তার – গৃহ কর্মের বয়স।


দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় – দুটো পা বাবার

কাজ করে তার মা – চালায় সংসার।


গ্রামের এক লোক আসে – মায়ের কাছে

ঢাকায় তার আত্মীয়ের – বাসা নাকি আছে।


খাওয়া দাওয়া ভালো হবে – টাকা দেবে হাজার

শুনে কথা মহাখুশি – মা হলো তার।


ঘরেতে আছে নাকি – স্বামী স্ত্রী আর মেয়ে

আনন্দেই কাটাবে দিন – সেখানেতে গিয়ে।


মেয়েটার খাওয়া পরা – হবে কিছু  ভালো

কথা শুনে মা তার – চোখে দেখে আলো।


তুলে দেয় মেয়েকে – প্রতিবেশীর হাতে

কষ্ট হবেনা মেয়ের – ক্ষুধা পেলে ভাতে।


শিউলির ঠিকানা হলো – রাজধানী ঢাকায়

কিছুদিন যেতেই পড়ে – গুড়ে বালি আশায়।


ঠিকমতো পেতো না সে – প্রয়োজনে খাবার

রান্নাঘরের এককোণে – জায়গা ঘুমাবার।


গৃহস্থালির পুরো কাজ – করতে হয় তাকে

নিরবে কাঁদে শিশু – আর ডাকে মা’কে।


ঘর মোছা, কাপড়কাচা – থালা বাসন মাজা

ব্যতিক্রম হলে কাজে – নেমে আসে সাজা।


ভুল যদি হয় তার – চড় থাপ্পড় খায়

হাতের কাছে যা পায় – তা দিয়েই পেটায়।


গরম খুন্তির ছেঁকা দিয়ে – করে নির্যাতন

সইতে না পেরে শিউলি – হয় অচেতন।


এভাবেই কাটে তার – চারটি বছর

অবশেষে খবর পায় – পুলিশ সদরদপ্তর।


করা হয় উদ্ধার তাকে – অভিযোগ পেলে

ভর্তি করে দেয়া হয় – সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে।


গ্রেফতার করা হয় – অপরাধীদেরে

আদালতে তোলা হয় – উপযুক্ত বিচারে।


প্রতিবেশীর কারনেই তার – দুর্গতি হলো

প্রতিবেশী হলেই কিন্তু – সব নয় ভালো।


২২/০৭/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।


 


 

সিএ/এসএস


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সংবাদটি শেয়ার করুন