গুচ্ছ ক বি তা ।।।। বিচিত্র কুমার
কাশ কুমারী
ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে কাশ ফুলের ওই দেশে;
সিগ্ধহাওয়া খোঁপায় দোলে কাশ কুমারীর কেশে।
পাখির মতো হাওয়ায় উড়ে সাদা সাদা পরী;
মন চায় তাকে হাত বাড়িয়ে ভালোবাসাই ধরি।
কিন্তু তাকে পাইনা ছুঁতে জ্বলেপুড়ে মরি;
ইচ্ছে করে বলতে ডেকে- ওগো কাশ কুমারী।
তোমায় নিয়ে কাব্য লিখি আমি প্রেমের কবি;
রঙতুলিতে হৃদয় মাঝে এঁকেছি তোমার ছবি।
ইচ্ছে করে জানতে তোমায় এই শরতের দেশে;
কেমনে তুমি সুখে আছো আমায় দূরে রেখে?
নদীর বাঁকে পুকুর পাড়ে সুখেই কাটছে তোমার দিন;
তোমার কথা ভেবেভেবে আমার বুকের মধ্যে করে চিনচিন।
এই শরতে যেই না তোমায় প্রথম দেখেছি;
বুকের মধ্যে ভালোবাসার ঘরবাঁধার স্বপ্ন দেখছি।
ওগো শরৎ রানী কাশ কুমারী রাখো না আমার কথা;
তোমার জন্য পাগল আমি আর দিও না ব্যাথা।
অমনি শুনে হঠাৎ সে হারিয়ে গেলো সাদা সাদা মেঘে;
উড়ে উড়ে ঘোরে কাশ কুমারী পরীর ডানা পেয়ে।
(০২)
ও পাশানী
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই
বুকটা আমার খাঁ খাঁ করে কেমনে একা রই
দুচোখেতে ঘুম আসেনা তোর নামটা অজানা
কেমনে আমি সই।।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
ইচ্ছে ছিলো বুকের ভিতর বাঁধব সুখের ঘর
ভালোবাসার পৃথিবীতে কেন হলি পর
বুকটা আমার করে শুধু এখন ধড়পড়
এ ব্যাথা কেমনে আমি সই।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
তুই কেন বুঝলি না আমি তোর দিবানা
ঘুম আসেনা দুচোখ ঘুম আসেনা
তোর মুখটা লাগে চিনা চিনা
বুকটা আমার খাঁ খাঁ করে কেমনে একা রই।।
বুকের ভিতর স্বপ্নছিলো রাখবো তোকে বেঁধে
হঠাৎ তুই দেখা দিয়ে আমায় গেলি কাঁদিয়ে
এ ব্যাথা কেমনে আমি সই।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
(০৩)
কেউ বললো না ভালোবাসি
কেউ বললো না ভালোবাসি,উতলা যৌবনেও একাএকা পথ চলি,কেউ বললো না ভালোবাসি;
কত না উড়ন্ত পাখি এলো গেলো,কেউ বাসা বাঁধলো না প্রেমে,
ওরা শুধু হাওয়া টাওয়া খেতে চায় অনলাইনের মতো গেমে;
কোন প্রেমিকার অশ্রু ঝরেনা দুই নয়নে।
কখনো আমি প্রেমযমুনায় সাঁতারও কাটতে পারিনি,দূরন্ত সব বন্ধুরা অনেক সাঁটার কেটেছে, চাঁদের বেশে নিশি,জোছনা,চাঁদনীর দেহ খেলেছে;
শুনেছি পৃথিবীর সব সুখ না কী ওইখানে পাওয়া যায়?
জোনাকিরা মিটিমিটি আলো জ্বালায়,
ঝিঁঝি পোকা গান গায়।
জীবনে একটাও সুখ পাখি পুষতে পারলাম না,
যদি উড়াল দেয় শুধু সেই ভয়ে,বন্ধুরা কতবার বললো একটাকে ধর না;
আমি কখনো ধরার সাহসই পাইনি, অন্ধপ্রেমের আঁধারিতে সময় নষ্ট করতেও চাইনি।
জানি পৃথিবীতে প্রেমের খুব কদর রয়েছে, ফুল ফোটামাত্রই ভ্রমরেরা গুনগুন করতে থাকে।
তাইতো আমি একা একা মন খারাপের দেশে-
কোন এক শরতের পড়ন্তবিকালে ইচ্ছে নদীর তীর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম;
হঠাৎ দেখি একটা ফিলিংস পাখি, হরিণীর মতো টানাটানা দুটি আঁখি।
সে আমাকে দেখে মনের দরজা খুলে থমকে দাঁড়ালো,
জিজ্ঞেসা করলো আমি কেমন আছি? কি করছি? মা বাবা কেমন আছে? ইত্যাদি ইত্যাদি—?
মাঝে মাঝে যেটা ম্যাসেনঞ্জারে সে জিজ্ঞেসা করে?
শুধু বললো না একবারও ভালোবাসি, এ জীবনে কেউ বললো না তোমাকে ভালোবাসি।
এসএস/সিএ