সাহিত্য ও কবিতা

জয় বাংলা 

জয় বাংলা 

পুলক বড়ুয়া

জয় বাংলা 

দেশের ভেতরে দেশের শত্তুর
দেশের বাইরে দেশের শত্তুর
রাজাকার-আলবদর-আলশামস
ওরফে স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধী
অপরাধীর দল পাকবাহিনীর সাঙাতেরা
পাকিস্তানের ২৪ বছরের বেজন্মা,
গোলাম-গোলামীর গর্ভজাত, জীবন্মৃত, মৃত
কিংবা পলাতক সব বাজেমাল
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এখন এদিক-সেদিক
ঘরে ও বাইরে তাদের রয়েছে
রাষ্ট্রক্ষমতালোভী মহাপ্রভুপ্রতিপালকবৃন্দ
তাদের অপরাধসমূহের সংবৎসর
অথবা মৌসুমী ফেরিওয়ালা
সেইসব নষ্টদের বুড়িগঙ্গার ভ্রষ্টজলে
ফেলে দিলে তার
দূষণ আরও এত ভয়ঙ্কর হবে, ভেবে,
পারমাণবিক বর্জ্যের চেয়েও
মারাত্মক-তেজস্ক্রিয়
অথচ এইসব অপদার্থ-বর্জ্য পদার্থ
আবর্জনাদের বোঝা পুরোপুরি বুড়ি না-হলেও
এই প্রৌঢ় বয়সেও অবশিষ্ট জীবনীশক্তিটুকুর লোভে
স্বীয় রূপ-রঙ-রস নির্যাস খোয়াতে মোটেও রাজি হল না
স্বয়ং বুড়িগঙ্গাও : তড়িৎ ঢেউয়ের মতো
গর্জে উঠলো লাফিয়ে উঠলো খেপে খেকিয়ে এল
পায়ের নখ থেকে মাথার চুল অবধি
ন্যুব্জ অথচ এ মুহুর্তে একটি খড়্গ-খাড়া কন্ঠ :
দেখ, বাপু, যৌবন গেছে—এ বয়সে আর
জ্বালিও না, কলঙ্কিত করো না
তামাশা আর ভালো লাগে না
অশীতিপর বুড়ো বানর কা—মালটা মরুক
এ তার স্রেফ শেষ রাজনৈতিক অভিলাষ
শীর্ষ-খায়েস শুধু নয়—অবশ্য‌ই
এ বয়সে একধরণের ঐচ্ছিক-ভাঁওতাবাজি :
তার রাজনৈতিক আলখাল্লার নিচে—আস্তিনের ভেতরে—
সে তো কোনো ‘ রাজনৈতিক জাদুকর ‘ না—
এ বুড়াকালে ‘ রাজনৈতিক ভীমরতি ‘
রাজনীতিতে তো মজা-চমক-রহস্যের কোনো ইতি নেই;
কোথাও কোনো কিছু ঘাপটি মেরে আছে কী না
লুকিয়ে আছে কী না, কে জানে ! ( রাজনীতি তো
সুবিধাবাদ-অসভ্যতা-হঠকারিতায় ঠাসা-খাসা )
ওদের কী আর  মালপানি লেনদেনের অভাব আছে ?
আমার বুড়িগঙ্গার কালাপানির আর দরকার কী ?
না না ওদের আর ডোবাতে চাই না
ওরা এমনিতে ডুবু ডুবু হয়ে আছে
ওরা ডুবে ডুবে জল খায়
শিবের বাবাও টের পায় না
হায় হায়, কুঁড়ের বাদশা আস্তাকুঁড়কে বলতেই—
সে অকপটে নদীর মতো অন্য নাখোশ স্বরে বললো :
আমি বলবো না, তোমরা পৃথিবীর প্রতিটি
ডাস্টবিনকে ফুলের টব বানিয়ে দাও :
কুকুর-বেড়ালেরা আমার নিয়মিত খদ্দের
তোমাদের নব্য-পুরাতন ইতরেরা এলে
এত বদগন্ধ ছড়াবে যে
আমার চিরপ্রিয় ইতরেরাও পালাবে
আমি যতই তাদের আপ্যায়ন করি
না কেন তারা আমার এই আতিথ্যকে
কিছুতেই মর্যাদা দেবে না, মেনে নেবে না
আমার এই নিশিদিন সেবাদান পন্ড হবে, দোজখে  যাবে
একজন ঝাড়ুদারকে শুধালাম, তার ভাষ্য,
যদি আমি তাদের পথের ধুলায় মিশিয়ে দিই
তাহলে, সে আর এ পথে
কোনোদিন ঝাড়ু দিতে আসবে না
তার ঝাড়ুটিকে সে আর যাই হোক
অপবিত্র করতে পারবে না—
এমনিতেই অনেক অপবিত্র হয়ে আছে
তরুণ ভোটারদের মতো উত্তর-প্রজন্মের
দিকে যেতে যেতেই শুনলাম :
ওদের চোখে-মুখে
লাল সবুজের মহাধ্বনি-প্রতিধ্বনি :
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল উপচে-উচ্ছ্বাসে :
               জ
                      য়
                            বাং
                                    লা
যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের দল
লেজ গোটানো কুকুরের মতো চুপসে গেল
বাতাসে ফুঁসে উঠে ডানা মেলল
                চি
                        র
                               জী
                                       বী
                বাং
                        লা
                                দে
                                       শ
                জ
                         য়
                                বাং
                                        লা
সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 4 =