জীবন ও স্বাস্থ্য

দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি হবে ইতালির মতো

দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি হবে ইতালির মতো
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফাইল ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি হবে ইতালির মতো বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইউরোপের দেশ ইতালিতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে উৎপত্তিস্থল চীনকেও। গতকাল শনিবার ইতালিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৯৩ জন, যা এখন পর্যন্ত যেকোনো দেশের জন্যই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

খুব শিগগিরই এমন পরিস্থিতি হতে পারে যুক্তরাজ্যেও। আজ রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিজে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গতকাল শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৩ জন, যা ঠিক ৭ মার্চ তারিখে ইতালিতে মৃত্যু সংখ্যার সমান। এ পরিসংখ্যান টেনে বরিস জনসন বলেন, ‘ইতালির মতো পরিস্থিতি থেকে আমরা মাত্র দুই কি তিন সপ্তাহ পেছনে আছি।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে অসুস্থ হওয়া মানুষ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই বিষয়টি আমরা কোনোভাবেই গোপন করতে পারি না। গোপন করা উচিত হবে না। কেননা দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতিও ইতালির মতোই ভয়াবহ হতে চলেছে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতালিয়দের চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্দান্ত। তারপরও তাদের চিকিৎসক-নার্সরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এরই মধ্যে ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক হাজার হয়েছে, যা আরও বাড়বে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ না করি, যদি (ভাইরাস) বিস্তারের গতি কমাতে নায়কোচিত জাতীয় ব্যবস্থা না নেই-তাহলে আমাদের এনএইচএস-ও (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) একইভাবে হিমশিম খাবে।’

এ সময় কোয়ারেন্টিনের নির্দেশনা অমান্য করে নাগরিকদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার জোর অনুরোধ জানান বরিস জনসন।

কিছুদিন আগেই করোনার উৎস চীনকে মৃ্ত্যুর সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। ইউরোপের দেশটিতে করোনাভাইরাসে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৮২৫ জন, আক্রান্ত ৫৩ হাজারেরও বেশি।

এদিকে, ইতালি সরকার ইতিমধ্যেই লকডাউন করে দিয়েছে দেশটির অধিকাংশ শহির। ফার্মেসি ও নিত্যপণ্য বিক্রয়কেন্দ্র বাদে বন্ধ করা হয়েছে সবকিছু। নাগরিকদের আগামী কয়েক সপ্তাহ ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য কড়া পরামর্শ দিয়েছে সরকার।

তারপরও করোনার মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, রোগী রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক মেডিকেল কর্মী অস্থায়ী তাঁবুতেই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

চলতি সপ্তাহেই চীনা রেডক্রসের একটি পরিদর্শক টিম দেশজুড়ে লকডাউনকে গুরুত্ব না দেয়া ও কোয়ারেন্টাইন না মানায় ইতালীয় নাগরিকদের কড়া সমালোচনা করেছে।

 



 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − 1 =