দেবযানী গুপ্ত –এর তিনটি কবিতা
প্রতীক্ষায়
উত্তুরে হাওয়া যখন ক্লান্ত উদাস,
নাম পাল্টে তখন সে দখিনা বাতাস;
এখনও কালো-মেঘে মেঘ জমে,
দমকা হাওয়ায় যায় না সবটা মুছে।
কখনো ভীড়ের মাঝেও একা ভীষণ,
একাকি শূন্যতারা খোঁজে একটি মন;
দিন পাল্টায়, সময় বয়ে যায়,
শুধু নিঃসঙ্গ রাত্রিরা রয়ে যায় অবিরত প্রতিক্ষায়।
অজানা কথা
অনেক কিছুই জানে
এই রাতের অন্ধকারে
তার চুঁয়ে পড়া আলোগুলো,
আমার পাপ পূণ্যের
কিছুটা হিসেবেও রাখে সন্ধ্যামালতী।
শূন্যতা ও গভীরতার পার্থক্য
জানে ভাল করে।
আমার সবকিছুই জানে
বুকপকেটে লেপ্টে থাকা হৃদযন্ত্রটি,
কতটা হারানো, কতটা বেদনা
কতটা যন্ত্রনা, কতটা প্রাপ্তি ,
এসবকিছুই নিয়েই হিসেব-তরঙ্গে চলছে-
শরীরের উষ্ণতা,ও বাকিটা হৃদযন্ত্রের কম্পন,
আমার বেঁচে থাকাও এরই অনুদান।।
শূন্য মন
শূন্য থেকে শূন্য তর মনে
বাঁধ ভাঙছে কোথাও অবিরত
পাড় ভাঙ্গার শব্দ সবাই বোঝে
মন ভাঙছে মনের এক কোণে।
ঠোঁটের কোণে পুড়ছে নিকোটিন ,
স্বপ্নগুলোও পুড়ছে অহরহ
বেঁচে থাকাটাই যখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়
প্রেম যেন অলীক স্বপ্নে ভাসায়।