দেশের সংবাদ

দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর চার বার্তা

শেখ হাসিনায় ৮৬ সরকারে ৮৫ ভাগ মানুষ সন্তুষ্ট, দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর চার বার্তা
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর চার বার্তা ।। বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এরই মধ্যে বাংলাদেশেও সংক্রমিত হতে শুরু করেছে। এর শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবুও করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। যানবাহন চলাচল, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ রয়েছে। দেশের কোন কোন এলাকা লকডাউনও করা হয়েছে। এবার এই ভয়ানক ভাইরাস মোকাবিলায় পরামর্শ ও আহ্বান সংবলিত চারটি বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বার্তাগুলো প্রচারের জন্য অনুরোধ জানান। খবর বাসসের

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর চার বার্তা হচ্ছে:

(১) করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আপনার করণীয়: প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। বাইরে বের হলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন। যারা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, তারা ১৪ দিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলবেন না। করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও ঘরে বসে প্রার্থনা করুন। পরিবার, পাড়াপ্রতিবেশি এবং দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে এসব পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

(২) সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রির ঘাটতি নেই: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পিপিই-সহ পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুদ রয়েছে। ঢাকায় ৪টি স্থানে এবং চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য ৬টি বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার স্থাপনের কাজ চলছে। কেউ গুজব ছড়াবেন না। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(৩) করোনা ভাইরাসে ভীত হবেন না: করোনাবাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে। আপনার পরিবারের সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। আপনি, পরিবারের সদস্যগণ এবং প্রতিবেশীরা যেন সংক্রমিত না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।

(৪) সহনশীল ও সংবেদনশীল হোন: করোনাভাইরাসের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্ব এক সঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছে। এ সময়ে আমাদের সহনশীল এবং সংবেদনশীল হতে হবে। বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। যতটুকু না হলে নয়, তার অতিরিক্ত কোন ভোগ্যপণ্য কিনবেন না। সীমিত আয়ের মানুষকে কেনার সুযোগ দিন। অসহায় মানুষের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সিঅ/এসএস

 


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন


 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =