পাকিস্তানে নারীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ মানবাধিকার কর্মী সালমান মাসুদ খান। তিনি বলেন, সুরক্ষা আইন থাকার পরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত এক কলামে তিনি বলেন, নারীদের সুরক্ষার স্পষ্ট নীতিমালা থাকার পরেও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যায় না। বরং প্রতিক্রিয়াশীলরা নির্দেশ দেয় কীভাবে সুরক্ষা নীতিমালাগুলো প্রয়োগ করা হবে।
‘ওয়ার এগেইনস্ট রেইপ’ নামে এক স্থানীয় এনজিও’র বরাতে তিনি বলেন, ধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনাই আড়ালে থেকে যায়। আর যেগুলো বাইরে আসে তাতে দণ্ডপ্রাপ্তির হার খুবই কম।
জাং গ্রুপ এবং জিও টেলিভিশন যৌথভাবে পাঞ্জাবে ধর্ষণ মামলার ওপর একটি গবেষণা করে। এতে দেখা যায়, ২০১৭ সালে সেখানে এক হাজার ৩৬৫টি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে হয়েছে তিন হাজার ৮৮১টি।
দ্যা সাসটেইনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসএসডিও) মতে পাকিস্তানে ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা ২০০ শতাংশ বেড়েছে।
এসব তথ্য উল্লেখ করে মানবাধিকার কর্মী সালমান মাসুদ খান বলেন, পাকিস্তানের নারীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিজেকে দোষারোপ করার জন্য দোষ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশটির বিচার বিভাগে খুবই কম সংখ্যক নারী বিচারপতি রয়েছেন। একই সঙ্গে নারী প্রসিকিউটরের সংখ্যাও কম। আর ধর্ষণ মামলার শুনানি ওপেন কোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে ভুক্তভোগীরা হয়রানির শিকার হন।
তার দাবি প্রাদেশিক সরকারসহ সরকারকে অবশ্যই নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন বাতিল করতে হবে। আর ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের দু-আঙুলের পরীক্ষা বাদ দিতে হবে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য উন্নততর সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে হবে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন