যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাতে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান ছুঁয়ে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন।
ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্প যখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এসময় তিনি বলছিলেন,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!”
ওই সমাবেশে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, গুলির শব্দ পাওয়ার আগে আগে তিনি কাছের একটি ভবনের ছাদে এক রাইফেলধারীকে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
ওই হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ গেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এফবিআই জানিয়েছে, ট্রাম্পের দিকে গুলিবর্ষণকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ও তার বয়স ২০ বছর।
বাংলাদেশের নিন্দা
নির্বাচনি জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সংঘাত সেভাবে ছিল না, কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলা, অবশ্যই আমারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং আমরা এটার নিন্দা জানাই।
“রাজনীতিতে সংঘাতের কোনো স্থান থাকা উচিত না, এটাই আমাদের বক্তব্য।”
যুক্তরাষ্ট্রে সংঘাতের বিষয় বলার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট, রাজনীতিতে কোনো সংঘাত আমরা চাই না।
“আমাদের দেশে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে এবং গাড়িঘোড়া ধ্বংস করা হয়, পোড়ানো হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয়, সেটা কখনও কাম্য নয়, সেটা অনভিপ্রেত, এটা আইনবিরোধী।”