প্রতিথযশা সাংবাদিক অজয় পাল-এর মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে শোক
বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় পাল আর নেই। তিনি গতকাল শনিবার রাতে লন্ডনের একটি হাসপাতালে স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিন দিন আগে অজয় পালের স্ট্রোক করে। পরে তাকে লন্ডনের রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে অবশেষে তিনি আজ লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে পরকালে পাড়ি জমান।
একসময় দেশের অন্যতম খ্যাতিনামা সাংবাদিক অজয় পালের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশের মতো প্রবাসেও শোকের ছায়া নেমে আসে।
সত্তরের দশকে সাপ্তাহিক ‘যুগভেরী’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন অজয় পাল। ৫২ বছরের এই দীর্ঘ পরিক্রমায় সিলেটের স্থানীয় ও জাতীয় এবং প্রবাস থেকে প্রকাশিত অনেক সংবাদপত্রে কাজ করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। জাতীয় দৈনিকের মধ্যে বাংলার বাণী, দৈনিক সংবাদ, দেশবাংলা ও বাংলাবাজার পত্রিকা ছাড়াও সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেট বাণী পত্রিকায়ও কাজ করেছেন তিনি। আর সাপ্তাহিকের মধ্যে যুগভেরী, সিলেট সমাচার, দেশবার্তা ও সিলেটধ্বনি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন বহুদিন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুরমা, জাগরণ, পত্রিকা, দেশবার্তা, পূর্বদেশ ও কানাডা থেকে প্রকাশিত বাংলা নিউজ পত্রিকার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন । ২০০৮ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মাসিক হৃদয়ে বাংলাদেশ ম্যাগাজিনের ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
বাংলাবাজার পত্রিকা টানা দুবছর অজয় পালকে দেশের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিকের মর্যাদায় অভিষিক্ত করে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি গীতিকার ও ছড়াকার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি দুবছর সিলেট বেতার কেন্দ্রে স্থানীয় সংবাদও পাঠ করেন। সাংবাদিকতার সুবাদে ২০০১ সালে অজয় পাল কিউবার হাভানায় অনুষ্ঠিত ইন্টার–পার্লামেন্টারি কনভেনশনে বাংলাদেশ সংসদীয় দলের সঙ্গে সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮০ সালে দৈনিক সংবাদে কর্মরত থাকাকালে সিলেটের স্থানীয় একজন সাংসদের গাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলায় তিনি কারাবরন করেন।
প্রতিথযশা সাংবাদিক অজয় পাল-এর মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তিবর্গরা শোক বাণী এবং স্মৃতিচারণ করছেন।