বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের আশ্রয় বাতিলের দাবিতে লসএঞ্জেলেসে মানববন্ধন
ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেছে। গত রোববার লসএঞ্জেলেস সিটির ‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের ক্যালিফোর্নিয়া শাখার উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রানা হাসান মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা নাজির উল্লাহ মোল্লা, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রহমান বাদল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক সভাপতি ঢালী মোফাজ্জল হোসেন মফু, বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি রানা বড়ুয়া, হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন মণ্ডল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ক্যালিফোর্নিয়ার সভাপতি তৌফিক সোলাইমান খান তুহিন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মমিনুল হক বাচ্চু প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, আইনের শাসনের দেশ হয়েও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার জন্যে দণ্ডিত রাশেদ চৌধুরীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে? আশ্রয় প্রার্থনার সময় এই ঘাতক নিশ্চয়ই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতে সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ করেনি। এই একটিমাত্র কারণেই তার আশ্রয় বাতিল করে বাংলাদেশে সোপর্দ করা যেতে পারে।
সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ খুনি রাশেদের অভিবাসনের নথিপত্র অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার চেয়ে পাঠানোর জন্য প্রবাসী কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তার একক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে জাতীয় দিবসগুলোর মতো জাতীয় শোক দিবস সম্মিলিতভাবে মর্যাদার সাথে পালন করার অনুরোধ করেন সকলকে। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাগাতার দেন-দরবারের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সম্প্রতি ঘাতক রাশেদ চৌধুরীর পুরনো ফাইল ওপেন করেছে। এরপর কী ঘটেছে-তা জানতে চায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
বক্তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সুশাসনের ইমেজ সমুন্নত রাখার স্বার্থে অবিলম্বে রাশেদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠানোর বিকল্প নেই। একইসাথে একাত্তরের ঘাতক হিসেবে দণ্ডিত অপর আল বদরদেরকেও গ্রেফতারের পর বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। তারা বিচার বিভাগের কাছে সে আহ্বানই রাখছেন।
কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন বাফলার সাবেক সভাপতি জসিম আশরাফি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসাইন রানা এবং সাবেক সহসভাপতি ফয়জু সোবহান, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ক্যালিফোর্নিয়ার সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন পান্না, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মোহাম্মদ হাই, লসএঞ্জেলেস সিটি যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও আনন্দমেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সিএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন