গ্রীসের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গ্রীক রাষ্ট্রপতিকে দুদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, পোশাকশিল্প ও জ্বালানিসহ অন্যান্য খাত সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবসা-বান্ধব নীতিমালা এবং বিনিয়োগকারী জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গত বছর গ্রীসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফল দ্বিপক্ষীয় সফরের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন যে, পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে গ্রীসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে ফিরতি সফরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন যাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলি দুটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নিজেরাই দেখতে পারেন।
মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারের জনগণকে মানবিক বিবেচনায় গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার যে অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশ স্থাপন করেছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের নাগরিকদেরকে তাদের স্বদেশে ফেরত নেয়ার বিষয়ে গ্রীক সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
গ্রীক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে এসকল বিষয়ে তার সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি গ্রীসে অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার দায়িত্বপালনের সময়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। তিনি দুদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে তার সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন এবং আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিবিঢ়তর বলে আশা প্রকাশ করেন। গ্রীক রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বৈঠকে গ্রীক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সচিব এবং রাষ্ট্রাচার প্রধান উপস্থিত ছিলেন।