বাথরুমে স্নানের সময় সব দেখা যাচ্ছে! পড়শির চিঠি পেয়ে আঁতকে উঠলেন যুবতী
দরজার ফাঁক গলে ঘরে এসেছিল পড়শির একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি। সে চিঠি পড়তেই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়! এক যুবতীর উদ্দেশে ওই চিঠিতে পড়শির দাবি, বাথরুমের জানলা দিয়ে সব দৃশ্যই দেখা যায়। সামনাসামনি সে কথা বলে যুবতীকে লজ্জায় ফেলতে চাননি বলে চিঠিটি দরজার ফাঁক গলিয়ে ভিতরে ফেলেছেন। শুক্রবার ম্যানচেস্টারের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনা।
পেশায় সাংবাদিক সারা ইয়েটসকে ওই চিঠি লিখেছেন তাঁর পড়শি। যদিও নিজের নামপরিচয় দেননি পত্রলেখক। অজ্ঞাতপরিচয় পড়শির চিঠি পড়েই লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছেন সারা। তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে মিলে নতুন বাড়িতে এসে উঠেছেন তিনি। ওই আত্মীয়ের সঙ্গেই থাকেন তিনি। সম্প্রতি গ্রিসের রোডসে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন সারা। সে সময়ই ওই চিঠিটি তাঁদের দরজার ফাঁক গলিয়ে কেউ ভিতরে পাঠিয়ে দেন। সারার আত্মীয় চিঠিটি তাঁকে গ্রিসে ছবি তুলে পাঠিয়েছেন। তাতে লেখা, ‘বাথরুমে ব্লাইন্ডস লাগানো উচিত। আপনার স্নানের সময় সব কিছুই দেখা যায়। তবে আপনাকে লজ্জায় ফেলতে চাই না বলে (বাড়ির) দরজায় টোকা দিইনি।’ চিঠিতে পড়শি নিজের নাম লেখেননি।
পড়শির কাছ থেকে এই চিঠিই পেয়েছেন সারা ইয়েটস।ছবি: সংগৃহীত।
সারা জানিয়েছেন, বাড়িটি কেনার পর বাথরুমে নতুন জোরালো আলো লাগিয়েছিলেন। জানলার ঘষা কাচের ভিতর দিয়ে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায় কি না, তা-ও বাগানে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। ফলে নিশ্চিন্তই ছিলেন। তবে পড়শির চিঠি পেয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছেন। সারার কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম ঘষা কাচ দিয়ে আবছা অবয়ব দেখা গেলেও তা তেমন স্পষ্ট নয়। তবে বুঝতেই পারিনি যে সব কিছু দেখা যাচ্ছে।’’
এত কিছুর পর এ বার কি বাথরুমের জানলার কাচ পাল্টাবেন? সারা বলেছেন, ‘‘ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসি। তার পর বাগানে কয়েকটা বড় বড় গাছ লাগাতে হবে। যাতে বাথরুমের ভিতরের দৃশ্য বাইরে থেকে দেখা না যায়।’’