লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বিজয় দিবস ২০১৯ উদযাপিত হলো আজ ১৬ই ডিসেম্বর। সাড়ম্বরে ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে৷ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বটি উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন দেওয়ান মাহমুদ ও মাহফুজা৷
শিল্পী-উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার ঊর্মি মাজহার (‘একাত্তরের দিনগুলি’), বিবিসি’র সাবেক খ্যাতিমান উপস্থাপক ও প্রথিতযশা আবৃত্তিকার উদয় শঙ্কর দাস (‘মা’র কাছে মুক্তিযোদ্ধা সোলেমানের শেষ চিঠি), আবৃত্তিকার পপি শাহনাজ (‘আমি বীরাঙ্গণা বলছি) এবং আবৃত্তিকার সালাহউদ্দিন শাহীন (নূরল দীনের সারা জীবন)৷
সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন সুকন্ঠী গায়িকা স্বপ্না, সেলিনা, ঊর্মি মাজহারসহ তাঁদের সংগঠন – ‘শতকন্ঠে শতবর্ষের গান’ এর একঝাঁক তরুণ ও প্রশ্রুতিশীল সঙ্গীতশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ৷ সেতারে সঙ্গদ করেন ওস্তাদ ইউসুফ আলী খান৷ এক নাগাড়ে তাঁরা পরিবেশন করেন ১৯৭১ এর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সেইসব সাড়া জাগানিয়া গান – “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা”, “পুর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল”, “শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠ”, “জয় বাংলা, বাংলার জয়”, “নোঙ্গর তোলো তোলো, সময় যে হলো হলো”, এবং “বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রিষ্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালী”। পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্টস ভেন্যুতে অভ্যাগত সাড়ে সাতশ’ বাংলাদশী ও বৃটিশ অতথিদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট করে এ গানগুলোর দুর্দান্ত উপস্থাপনা৷
নৃত্য পরিবেশন করেন লন্ডনের সুপরিচিত তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশল নৃত্যশিল্পী সোনিয়া ও তাঁর দল৷ “গর্জে ওঠো আবারো, জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো” এবং “তোরা শুনতে কি পাস, সপ্ত সাগরে ঢেউ ওঠে উছলিয়া” গান দু’টির ট্র্যাকে তাঁদের নান্দনিক ও নাটকীয় নৃত্যকলা বিমুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের৷
এস এস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন