যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গ্রিসে গণহত্যা দিবস পালিত
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রিসের এথেন্সস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৫শে মার্চ: গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
২৫শে মার্চের কালরাতে ও পরবর্তী ৯ মাস ব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদগণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টে শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। ২৫শে মার্চের ভয়াল রাতসহ ১৯৭১ সালে সারাদেশে পাক হানাদার বাহিনীর চালানো বর্বর গণহত্যার উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। গণহত্যা দিবসের উপর বিশেষ আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে এই দিনকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এই দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দূতাবাসের প্রথম সচিব বিশ্বজিৎ কুমার পাল তার বক্তব্যে ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চের নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
গ্রিসে নিযুক্ত নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ গণহত্যা দিবসে প্রবাসীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একযোগে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান। তিনি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে ১৯৭১-এর গণহত্যা বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জোরালো জনমত তৈরী এবং এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় ও ভবিষ্যতে এমন নির্মম গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
দূতাবাসের মিনিস্টার মো. খালেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠন, নারী নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।