শীতল চট্টোপাধ্যায় -এর কবিতা
বর্তমান
নিঃশ্বাসের পাপড়ি নড়ে ,
প্রশ্বাসের পাতা খসে , বাকিটুকু –
অনড় গুঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা-
নতুন প্রতিরূপের নিশ্চল মানব ৷
বর্তমানের বোধ – অনুভূতির
কেঠো অস্তিত্বে ৷
চোরা দৃষ্টি
লাঙ্গলের বোঁটা ধরে
জমাট মাটির বুকে
ফসলের স্পন্দন জোড়ে চাষি ৷
ফসলের শিকড়ে -শিকড়ে বয়ে চলে
চাষির রক্ত স্রোত ৷
ফসল সন্তান ভাবনায়
ঘুমিয়েও – ঘুমানোর অনুভূতি
বোঝা হয়নি তার ৷
পোষা হাঁস -মোরগের কথা
শোনা হয়নি একবারও ,
চাষিবউও জানেনা , তার
চোরা দৃষ্টি চাষিকে ছুঁয়েছে কিনা !
জ্যোৎস্না বাঁশিএখনও জ্যোৎস্না বিছানায়
শুয়ে পড়ি মাঝে -মাঝে ৷
জ্যোৎস্না বাঁশিতে কয়েকবার শোনা সুরটা
আবার শুনব বলে !
চাঁদ জ্বলে থাকে ,
জ্যোৎস্না ফুঁ ছোঁয়ার আশায় ঘুরে বেড়ায় ,
ঠোঁটের স্পর্শহীনতায়
জ্যোৎস্না বাঁশি হয়না আর !——————————
অদেখা থাকে তাই টান ,
মাটির ডাকে উড়ে আসে মেঘপাখি ,
অরণ্য আহ্বানে ফুটে ওঠে
পাখি -প্রজাপতির বাঁচা অস্তিত্ব ,
হৃদয় বৃন্তে ধরা এই পাপড়িরা
জীবনকে – জীবন দান করে প্রতিদিন ৷
——————————
পত্র -স্থাপত্য
মনের জন্য মন কথার
পত্র- স্থাপত্য ৷
পত্র প্রতীক্ষার ঠিকানা ছুঁয়েছে
পিওনের ক্লান্তিহীন হাঁটা ৷
উতলা হৃদয়ের হাত স্পর্শ করেছে
ব্যাকুল হৃদয়ের পাঠানো
নীল খাম ৷ খুললেই –
প্রাণ প্রতিরূপে স্পন্দিত
অক্ষরেরা ৷