শুধু আগুন আর আগুন দেখছিলাম, বিধ্বস্ত বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রী ।। পাকিস্তানের করাচিতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯৯ জন আরোহীর ৯৭ জনই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ১৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা দুজনের একজন মুহাম্মদ জুবায়ের। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় চারপাশে কেবল আগুন আর আগুন দেখছিলেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংস হওয়া বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার কারণ তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। তবে পাকিস্তানের পাইলটদের সমিতি বলছে, সরকারি তদন্তের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লাহোর থেকে আসা ফ্লাইটটির পাইলট একবার অবতরণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন এবং কারিগরি ত্রুটির কথা কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়া এক রেকর্ডিংয়ে পাইলট বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কথা বলছিলেন বলে শোনা গেছে।
যেভাবে বেঁচে গেলেন মুহাম্মদ জুবায়ের
জুবায়ের জানান, বিমানটি স্বাভাবিকভাবেই উড়ছিল এবং ভেতর থেকে যাত্রীরা বুঝতেই পারেননি যে বিমানটি মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। এক সময় তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু একটু পর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি দেখতে পান চারদিকে আগুন জ্বলছে।
তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘সবদিক থেকে মানুষের আর্তচিৎকার শুনছিলাম- প্রাপ্তবয়স্ক, শিশু সবার আর্তচিৎকার। যেদিকে তাকাচ্ছি শুধু আগুন আর আগুন। কোনো মানুষ দেখতে পাইনি, শুধু চিৎকার শুনেছি।’
বেঁচে যাওয়া এই যাত্রী আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে আমি সিটবেল্ট খুলে এগুতে থাকি। তারপর আলো দেখতে পাই। আলোর দিকে ছুটে গিয়ে ১০ ফুট নিচে লাফ দিই। ধ্বংসাবশেষ থেকে লাফিয়ে পড়েই প্রাণে বেঁচে যাই।’
লাফ দেওয়ায় জুবায়ের সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি বলছেন, পাইলট প্রথমবার অবতরণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
সিবিএনএ/এসএস
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন