শৈলকুপায় দুঃখী মাহমুদ কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত
রানা আহম্মেদ অভি, ঝিনাইদহ। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা-কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি কার্যক্রম শেষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশ ঘটিকার দিকে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সহ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে পছন্দের কলেজ সমূহের মধ্য থেকে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি ক্লাস শুরুর নির্দেশনা মোতাবেক উদ্বোধনী ক্লাস ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন।
উক্ত অনুষ্ঠানটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গনির সভাপতিত্বে ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারী কেসি কলেজ,ঝিনাইদহের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিএম রেজাউল করিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেসি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর নাজিম উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন, উপাধ্যক্ষ মশিউর রহমান তাজু, রবিউল ইসলাম লাভলু, ইসমত আরা সুইটি, শাহনাজ খানম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান, ইসলামের ইতিহাসের প্রধান শহিদুল ইসলাম, নিরপুমা নাজনিন লিসা, নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, এম এ কবির ও মাসুদুজ্জামান লিটনসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
কলেজ জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতি জানিয়ে শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা জানান, আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শুরু থেকেই ইচ্ছে ছিল শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে ভর্তি হবার। সে আশা পূরণ হবার পরে শঙ্কায় ছিলাম নতুন পরিবেশ নিয়ে তবে কলেজের শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা আমাদের সব শঙ্কা দূর করে দিয়েছেন। তারা আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। আশা করি তাদের দেখানো পথে আগাতে পারলে ভালো কিছু হবে। সব মিলিয়ে আমি এই কলেজে ভর্তি হতে পেরে আনন্দিত।
কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি আমরা সকল শিক্ষক সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছি। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে সামনে আগানোর জন্য অনুরোধ করেছি। গ্রামীণ পর্যায়ে থেকেও আমদের কলেজ হতে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করছে এবং মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে যেটি আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের তৈরি করার চেষ্টা করবো।