‘পাপা এটা খাও, পাপা ওটা খাও’ সাগ্নিককে আদরে যত্নে ভরিয়ে রাখত পল্লবী: নায়িকা প্রত্যুষা
সাগ্নিক চক্রবর্তীর সঙ্গে পল্লবী দে-র প্রেমের গোড়ার কথা আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল। তিনি পল্লবীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থেকেছেন এক বছর টানা। সেই কারণে তাঁদের প্রেমের শুরুটা যেমন দেখেছেন, আদর, আবদার, ঝগড়া ঝামেলার সাক্ষীও ছিলেন তিনিই। সেই কথাগুলিই এখন মনে পড়ছে তাঁর। তাঁদের সম্পর্কের খুঁটিনাটির কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন প্রত্যুষা।
হাওড়ায় একই পাড়ায় থাকার দরুন একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন সাগ্নিক-পল্লবী। কিন্তু প্রেম হয়েছে প্রথম লকডাউনের সময়ে। অতিমারির কারণে প্রত্যুষা এবং পল্লবী তাঁদের ফ্ল্যাট ছেড়ে নিজের নিজের বাড়ি ফিরে যান। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে সেই ফ্ল্যাটেই সাগ্নিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন পল্লবী। এমনটাই জানিয়েছেন, পল্লবীর প্রাক্তন রুমমেট প্রত্যুষা। মাত্র গত মাসেই যুগলে নতুন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন।
তার পরে একাধিক জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়া বা একসঙ্গে আড্ডা মারা, এ সব ক্ষেত্রে সাগ্নিক-পল্লবীকে একসঙ্গে দেখেছেন বলেই দাবি প্রত্যুষার। তিনি বললেন, ‘‘সারা দিন সাগ্নিককে নিয়ে চিন্তা করত পল্লবী। আদর করে ‘পাপা’ বলে ডাকত। সর্ব ক্ষণ ‘পাপা এটা খাও, পাপা ওটা খাও’ চলতেই থাকত ওর।’’
সাগ্নিকও কি এতটাই ভালবাসতেন পল্লবীকে? প্রত্যুষা এই প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, শুরুর দিকে তো তাঁর সেটাই মনে হত। শ্যুটিংয়ের সেটে চলে গিয়ে প্রেমিকাকে চমকে দেওয়া থেকে শুরু করে প্রেমিকার মান ভাঙার জন্য চকোলেট নিয়ে আসা। এ সব কিছুই প্রত্যুষা প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু তাঁর মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরত বারবার, ‘‘যে ছেলেটি এত সহজে সাত বছরের সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে, পল্লবীর সঙ্গেও সে রকম করবে না তো?’’
টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্যজনক মৃত্যু মামলায় গ্রেপ্তার হলেন প্রয়াত নায়িকার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। মঙ্গলবার অভিনেত্রীর সঙ্গীকে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (১৬ মে) গড়ফা থানায় সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা সহ পল্লবীকে খুনের অভিযোগ এনে মামলা করে পরিবার। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার হলেন সাগ্নিক। তার অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। পল্লবীর বাবা নীলু দে গড়ফা থানায় অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত সাগ্নিক ও তার বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সরকারের নাম উল্লেখ করেন। প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ঐন্দ্রিলাকে ঘরে আনতেন সাগ্নিক। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেই মেয়েকে খুন করেছেন।
পল্লবীর টাকায় বাড়ি-গাড়িও কিনেছেন সাগ্নিক। মেয়ের ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনিও ছিলেন দুদিন ধরে সাগ্নিককে জেরা করে পুলিশ। চাওয়া হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও। এ দিন সন্ধ্যায় সাগ্নিককে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। রবিবার সকালে নিজ ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিনেত্রী পল্লবী দে’কে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও রকম সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে জানায় পুলিশ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গড়ফার ফ্ল্যাটে দুজনেই ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যরাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিনেত্রী পল্লবী দে ও তার প্রেমিক সাগ্নিক এর তুমুল ঝগড়া হয়। কী কারণে ঝগড়া জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে। – আনন্দবাজার
এসএস/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান