সাহিত্য ও কবিতা

চোরের অনুতাপ |||| বিশ্বজিৎ মানিক


চোরের অনুতাপ |||| বিশ্বজিৎ মানিক

বর্ষাকালে খৈয়াখালীর ক্ষেতে থাকে জল

এ কারণেই ফলেনা তায় আউশ ধানের ফসল।


দু’টি ফসল ফলায় কৃষক আমন আর বোরো

জলাবদ্ধ না হলে তায় ফলতো আউশ আরো।


দু’ফসল ফলিয়ে কৃষক ধান যতোটা পায়

খরচাপাতি বাদ দিয়ে তায় খাদ্য হয়ে যায়।


বর্ষাকালে মাছ এসেযায় রোপা আমন ক্ষেতে

কতো কৌশল করে কৃষক মাছগুলোকে পেতে।


কেউবা তাতে বঁড়শি পাতে কেউবা পলো হাতে

আবার কেউবা ফাঁদ পেতে তায় মাছ ধরাতে মেতে।


সুমন আলী খৈয়াখালী পেতে রাখে জাল

জালের উপর দিয়েই চলে নৌকা তুলে পাল।


সবুজ মাঝির নৌকা যখন কোদালি ছড়ায় ভিড়ে

কদম গাছের ছায়ায় বসে চাইলো নিতে জিরে।


হঠাৎ দেখে বড় মাছে করছে নড়াচড়া

হাল ছেড়ে তাই সবুজ মাঝি নাও করেছে খাড়া।


কোদালি পাড়ের কদম গাছে নৌকা বেঁধে মাঝি

ভাবলো মনে তোকেরে মাছ ধরবো আমি আজি।


মাথা নিচু করে মাঝি আসলো জালের কাছে

সুমন আলীর ফান্দা জালটি ভরে  আছে মাছে।


একটি একটি করে মাঝি কাল্লায় তুলে মাছ

সুমন আলী দুর থেকে তা করতে পেলো আচ।


সকাল বেলা সুমন আলী জালের কাছে গিয়ে

দেখতে পেলো মাছগুলো সব যাচ্ছে মাঝি নিয়ে।


হাঁক দিয়ে কয় ওরে মাঝি করছো কেন চুরি?

এক আছাড়ে নদীর পাড়ে ফাটাবো আজ ভুরি।


সবুজ মাঝি বড়োই পাঁজি মিথ্যা কথা কয়

জোর দিয়ে সে বলে ও ভাই জালটি তোমার নয়।


জাল পেতেছে আমার ভাইয়ে সন্ধ্যে বেলা কাল

বলছে আমায় তুলে নিতে তারই পাতা জাল।


মাঝির কথায় সুমন আলীর শরীর জ্বলে রাগে

বিপদ দেখে মাঝি শেষে মাছের দাবী ত্যাগে।


বললো মাঝি ভাইরে সুমন মাছ নিয়ে যাও তুমি

এ জীবনে এমন ভুল আর করবোনা ফের আমি।


দেশের তাবৎ চোর যদি ভাই আমার মতো হতো!

চুরি করা মালগুলো সব ফেরত দিয়ে দিতো।


০৩/০৮/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।







সংবাদটি শেয়ার করুন