টরন্টো প্রবাসী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, লেখিকা ও কবি যুথিকা বডুয়া আর নেই
সিবিএনএ পরিবার কখনোই ভাবতে পারেনি এমন একটি সংবাদ লিখতে হবে কিংবা প্রকাশ করতে হবে পত্রিকার লেখক তালিকার অন্যতম সদস্যকে নিয়ে। টরন্টো প্রবাসী বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী , লেখক কবি যুথিকা বডুয়ার কথা বলছিলাম। তিনি আর নেই। বড্ড অসময়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
আজ কোলকাতায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে । টরন্টো থেকে সিবিএনএ-এর সহকারী সম্পাদক জীবক বড়ুয়া জানিয়েছেন মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো অনুমানিক ৬০ বছর। তিনি কোলকাতার নিজ বাড়িতে স্বামী বিশিষ্ট লেখক সোনাকান্তি বড়ুয়া এবং দু’ কন্যাসন্তানকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদে কানাডা প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সিবিএনএ-এর জন্মলগ্নে নিয়মিত লিখতেন।
যুথিকা বড়ুয়া শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক জগতে বিচরণ। গানের পাশাপাশি লেখালেখি। তাঁর জন্ম, শিক্ষা, বেড়ে ওঠা গানের জগতে প্রবেশ পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায়।
যদিও দেশের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শ্রীপুরে। শ্বশুরালয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। লেখিকা যুথিকা বড়ুয়া কৈশোর বয়স থেকেই উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের হাতেখড়ি এবং সর্বভারতীয় উচ্চসঙ্গীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়াও ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ থেকে ডিপ্লোমা প্রাপ্ত। বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানের একাধীক অ্যালবাম রয়েছে।
জানা যায় যথিকা বড়ুয়া খুব অল্প বয়সেই বাবা-মার ইচ্ছাক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৩ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। তার প্রথম গল্প গ্রন্থ নানান ‘রঙের যাপিত জীবন’। তাঁর অধিকাংশ লেখাই প্রবাস জীবনে যাপিত জীবনের চালচ্চিত্র নিয়ে।
তাঁর এই অসময়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া কেউই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক- শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্মৃতিচারণ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অভিমত প্রকাশ করছেন।
দেশদিগন্ত মিডিয়া পরিবার এবং সিবিএনএ-এর প্রধান উপদেষ্টা বিদ্যুৎ ভৌমিক, প্রধান নির্বাহী সদেরা সুজন এবং সহযোগি সম্পাদক জীবক বড়ুয়া বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী, লেখক ও কবি যুথিকা বড়ুয়ার অকাল প্রয়াণে গভীর শোক, শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।