তুমি / বিপ্লব ঘোষ
তুমি এতটাই ধীর স্থির
কোনদিন পেরোতে পারিনি
কত কাজে সারাদিন কাটে
কত পথ চলে গেল শেষে
তবু যেই তোমার সামনে
মন পাহাড় তলে বসেছি
সমস্ত শরীরে যৌন স্নান
আমি আর বুঝতে পারিনা
তুমি যে আমার সব আশা !
—–
আশ্চর্য
ছেলে সেই বকখালির সমুদ্র জলে
তিন যুগ পেরিয়ে এসেছি
এই সেদিন মেয়েও গেল
তারও আগে সে তো কবেই ….
তবু ছুটছি রাত অবধি
অনেক জীবন আরো আরো …
বাঁচতে চাই নির্লজ্জ হয়ে
নিজেকে বলি,মেয়ে যে এখনও ছোট
এই অজুহাতে ।
মনে পড়ল সেই-ই ‘ আশ্চর্য ‘বচন
প্রতিদিন চোখের সামনে মৃত্যু দেখে
জীবিত মানুষের নিজের মৃত্যু কথা
স্বপ্নেও ভাবে না,সেটাই মহা আশ্চর্য !
——
ঝরাপাতা
জানলার গায়ে নিমগাছ
বসন্তে নতুন পাতার ফাঁকে ফুল
তবু দুটি ঝরাদল ডালে
এতো মায়া,ভালোবাসা ছেড়ে
যেতে তার মন নাহি চাহে ।
রোজ বসে দেখি এই দৃশ্য
বাতাস বহে, তবু শেষ আঁকড়ে থাকে
ভাবি,নতুনের মাঝে বড় বেমানান
আমিও আজ ঝরাপাতার মতো আছি
সংসারে কেমন যেন ঝুলে ।