দেশের সংবাদ

দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের

করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু দেশে করোনায় মৃত্যু

 

দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের। এ নিয়ে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জনে।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, দেশে করোনায় মৃত্যু নতুন দু’জনের মধ্যে একজন আগে থেকে আক্রান্ত ছিলেন, অন্যজন নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ছিলেন। একজনের বয়স ৯০ বছর এবং আরেকজনের ৬৮ বছর। একজন ঢাকার, অন্যজন ঢাকার বাইরের। একজন হৃদরোগী ছিলেন, আরেকজনের স্ট্রোক করার ইতিহাস ছিল।

 

নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, লকডাউন ২ এলাকা

lockdown

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর (৫০) মৃত্যুর পর পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। ইতোমধ্যে ওই নারী সংস্পর্শে থাকা সদর হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়কে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলোশনে রাখা হয়েছে।

এছাড়া ওই নারীর চিকিৎসা প্রদানকারি এক ডাক্তারসহ আরও ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে আক্রান্ত নারীর এলাকার ১০০ পরিবারসহ শহরে তার বাবার বাড়ির একটি এলাকার দু’টি বাড়িকে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লকডাউনকৃত এলাকায় বাসিয়েছে কড়া প্রহরা।

আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনায় মৃত্যু হওয়া ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের একশ পরিবারকে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরিবারগুলোর সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া ওই নারী তার বাবার বাড়ি শহরের পাইকপাড়া এলাকায়ও গিয়েছিলেন। সেখানেও একটি বহুতল ভবনসহ দুটি বাড়িকে লকডাউন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে। এই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

এদিকে, ঐ নারী কিভাবে এবং কার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি এখনো নির্ণয় সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারীর এলাকার বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, ওই নারী কিছুদিন পূর্বে সম্প্রতি ইতালী ফেরত এক আত্মীয়কে দেখতে ঢাকা গিয়েছিলেন।

 

দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের।

ঘটনার পর পুরো নারায়ণগঞ্জ এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন আরও জানান, মৃতের পরিবারের ৭ সদস্যসহ তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারি সদর জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালের সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স, এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, প্রাইভেট ল্যাবের টেকনিশিয়ান, এক্সরে টেকনিশিয়ান, আয়া ও চেম্বার এসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। পাশাপাশি আইইডিসিআরে মাধ্যমে আজকালের মধ্যেই লকডাউনের আওতায় রাখা একশ পরিবারের সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। তাদের কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মেয়ের শ্বশুরবাড়িসহ ৬টি ভবন লকডাউন

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি অংশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় সেখানকার ৪টি বাড়ির ১২ পরিবারকে লকডাউন করে দেয়।

করোনা শনাক্ত হওয়া বৃদ্ধের মেয়েটির স্বামী সৌদি প্রবাসী। কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করে দেশে এসেছেন ওই বৃদ্ধের মেয়ে ও তার শাশুড়ি। মেয়েটি বর্তমানে তার পিতার বাড়ি দামপাড়ায় অবস্থান করলেও সাতকানিয়ায় তার শ্বশুরবাড়িও লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার নগরীর দামপাড়া এলাকায় ৬৩ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ায় ওই এলাকার এক নম্বর গলির ৬টি বাড়িও লকডাউন করে দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ওই রোগীর হিস্ট্রিতে বিদেশ যাতায়াত ও বিদেশ ফেরত কারো সংস্পর্শে আসার তথ্য নেই বলে জানালেও পরে জানা যায় বৃদ্ধের মেয়ে ও মেয়ের শাশুড়ি সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরেছেন। করোনা ‘পজিটিভ’ দামপাড়ার ওই বৃদ্ধের মেয়ের সৌদি আরব থেকে ফিরে দামপাড়ায় পিতার বাড়িতে অবস্থান করলেও মেয়ের শাশুড়ি চলে যান সাতকানিয়ার পুরানগড়ে।

 

টেকনাফের ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন

ঢাকায় এক ব্যক্তির কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস টেস্ট পজেটিভ পাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফে ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। তার মধ্যে রয়েছে ৭টি বসতবাড়ি ও ৮টি দোকান।

শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এসব বাড়ি ও দোকানগুলো লকডাউন করা হয়েছে বলে উপজেলা স্থাস্থ্য,পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানিয়েছেন।

জানা যায়, কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে আক্কাস নামে এক র‌্যাব সদস্য টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর গত ২৬ মার্চ তিনি ঢাকায় ফিরে যান। তিনি ঢাকায় সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। পরে ৩ এপ্রিল ঢাকায় পরীক্ষা করলে তার শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়। তারই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতেই টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি টিম র‌্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি এলাকার বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করেন। এছাড়া কেয়ারল্যাব নামে একটি ক্লিনিক,শাহপরীরদ্বীপের একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

বাঅ/এমএ



 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + six =