আপনি কি প্রতিবেশীদের কোলাহলে অতিষ্ঠ? একজন নারী তার প্রতিবেশীদের কোলাহলে অতিষ্ঠ হয়ে একটি উপায় অবলম্বন করেছেন। আপনিও প্রতিবেশীর কোলাহল থেকে বাঁচতে এই উপায়টি অনুসরণ করতে পারেন।
৩১ বছর বয়সী ঐ নারী এবং তার স্বামী যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার ঠিক ওপরেই এক অল্প বয়স্ক দম্পতি থাকেন। তারা প্রায়ই রাতে এবং কখনো কখনো দিনেও পার্টি হোস্ট করেন। সেই দম্পতি এতো জোরে কথা বলেন যে তাঁদের সব কথা ওই নারীর কানে আসে, ঠিক যেন মনে হয় তাঁরা দরজার বাইরেই কথা বলছেন। কিছু ইকো পকেট আছে যার জন্য তাঁরা যদি একটু জোরে কথা বলেন তাহলে সবার ঘরের সব কথাও কানে চলে আসে। তিনি এই উচ্চস্বর উপেক্ষা করতে অনেক সময় বাড়ির বাইরে চলে যান, কিন্তু বাড়িতে থাকলে পার্টির হুল্লোড়ে টেকা দায় হয়ে যায়।
অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে তিনি এক কাজ করে বসলেন। প্রতিবেশীদের দরজায় একটি নোট লিখে দিলেন যাতে লেখা ছিল – ” আপনারা বেশ উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং যদি এইভাবে চলতে থাকে তবে আপনাদের কথোপকথন সম্ভবত গোপন থাকবে না।” যদিও নোটটি দেবার পর কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উন্নত হয়েছিলো, তারপর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে।
তাদের দরজায় নক করে আগের মতো আরো একটি নোট লিখেও ওই দম্পতিকে দমানো যায়নি, তাদের পার্টির বহরও বেড়েই চলেছে। একদিন, ওই নারী একটি সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি তার কাজ থামিয়ে তাদের কথোপকথনের একটি প্রতিলিপি টাইপ করেন। তিনি বলছেন – ‘’যদিও বিষয়টি ন্যূনতম ছিল। কেনাকাটা সম্পর্কে কয়েকটি লাইন এবং তার প্রতিক্রিয়া। সব কথোপকথন আমি টাইপ করে বাইরে গিয়ে তাদের দরজায় রেখে এসেছিলাম। তখন থেকে তারা বেশ নীরব ছিল।”
আসলে ব্যক্তিগত কথোপকথনে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত। প্রায় ২০সেকেন্ডের কথোপকথন পুরো টাইপকরে প্রতিবেশীদের দরজায় রেখে এসেছিলেন ওই নারী। সমস্যাটি সম্পর্কে বাড়িওয়ালাকেও জানান তিনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে ওই প্রতিবেশীদের সম্মুখে তিনি আসেননি।
নেট ব্যবহারকারীদের অনেকেই ওই নারীকে সমর্থন করেছেন, তাঁরা বলেছেন প্রত্যেকেরই জানা উচিত কোন কথা গোপন রাখতে হয়, কোন কথা সবাইকে শোনানো উচিত।
সূত্র : মানবজমিন