ভারতকে বিপদে ফেলতে নতুন ফাঁদ! লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে গালওয়ান নদীর গতিপথ বদলের চেষ্টা করছে চীন।
হাই রেজোলিউশনের উপগ্রহ চিত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ভারত চীন সীমান্তের খুব কাছাকাছি গালওয়ান নদীর কাছে বুলডোজার জড়ো করেছে বেইজিং। যেখানে বুলডোজারগুলো দাঁড় করানো আছে, সেখান থেকে ক্ষীণ ধারায় নদীটি বয়ে যাচ্ছে। বুলডোজার দাঁড় করিয়ে কাদামাটি ফেলে নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীন থেকে বয়ে আশা নদীটি লাদাখের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এই নদীর ধারেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাহারায় থাকে। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চীনের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ চীন।
বিগত ৪৫ বছরের ইতিহাসে প্রাণহানির কুৎসিত নজির গড়েছে গালওয়ান। সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে অই উপত্যকায় ভারতীয় ভূখণ্ড রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ২৩ জন ভারতীয় জওয়ান। তারপর থেকেই লাগাতার কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে দেশ দুটির মধ্যে।
ভারতের বক্তব্য এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই ঘিরে ফেলা হয় ভারতীয় জওয়ানদের এবং সংখ্যায় ভারতীয় জওয়ানদের তুলনায় চীনা জওয়ানদের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে চার থেকে পাঁচগুণ। পুরোপুরি এক তরফা হামলায় চীনা বাহিনী এলোপাথাড়ি আঘাত করে এক ধরনের কাঁটা লাগানো রড দিয়ে।
এ দিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবারো দুই বাহিনীর মেজর জেনারেল পর্যায়ে বৈঠক হয়। তবে ৬ ঘণ্টার বৈঠকে ফলাফল শূন্য। বুধবারও বৈঠক হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি। অমীমাংসিত থাকে বৈঠক। ভারতের পক্ষে বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেজর জেনারেল হরীন্দ্র সিংহ।
উত্তেজনা প্রশমনের জন্য দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তার মধ্যেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক প্রস্তুতি তুঙ্গে দু’পক্ষেরই। নয়াদিল্লি থেকে সেনাকে প্রয়োজন অনুযায়ী ‘লজিস্টিক’অর্থাৎ রসদ কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ধরনের পরিস্থিতি কী ভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা স্থানীয় স্তরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।
তারপরই নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন সেনাকর্মীদের জন্য ‘বডি আরমার’ বা এক বিশেষ ধরনের বর্মের মতো পোশাক পাঠানো হচ্ছে। সাধারণত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ যে ধরনের বিশেষ বর্ম পোশাক পরে অনেকটা সেই ধরনের পোশাক। তবে এই পোশাক ধারাল অস্ত্র্রের আঘাত রুখতে পারবে। সোমবার রাতের সংঘর্ষের কারণেই এ ধরনের প্রস্তুতি।
এদিকে চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান সংঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে, উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এ আহ্বান জানান।
সূত্রঃ সময় টিভি নিউজ
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন