যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ২৫ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গতকাল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) চিঠি দিয়েছে কমিশন। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা সেই ২৫ মিলিয়ন ডলার দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে দুদক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে কমিশন। যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ২৫ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নিজে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালী লবিস্টদের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মীর কাসেম আলী। তবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমেরিকার সিটি ব্যাংক এনএর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে দেশটির কেসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের হিসাব নম্বরে ২৫ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়েছিল। প্রায় ৯ বছর আগে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বিএফআইইউ।
মীর কাসেমের সেই ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে এখন দুদকের মানি লন্ডারিং ইউনিট। এ বিষয়ে বিএফআইইউ কী ব্যবস্থা নিয়েছে দুদক তার তথ্যও জানতে চেয়েছে। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, মীর কাসেমের পাচার করা ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে তার ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরানো সম্ভব মনে করেন তিনি।
_সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন