দেশের সংবাদ ফিচার্ড

কঠোর বিধিনিষেধেও থামছে না চায়ের দোকানের আড্ডা

কঠোর বিধিনিষেধেও থামছে না চায়ের দোকানের আড্ডা

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টা। রাজধানীর ক্রিসেন্ট রোডের একটি ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানের সামনে মানুষের জটলা। এ চায়ের দোকানে আড্ডা আর খোশগল্পে মেতে ওঠা লোকজনের কারও মুখে মাস্ক আছে তো কারও মুখে নেই। আর সামাজিক দূরত্বের প্রশ্ন এখানে অবান্তর!

শুধু ক্রিসেন্ট রোডেই নয়, সরেজমিনে রাজধানীর গ্রিনরোড, কলাবাগান, কাঁঠালবাগান, আলামিন রোডসহ বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে টং এবং ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানগুলোয় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। চায়ের দোকান ছাড়াও এসব এলাকার অলি-গলিতে মানুষের জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো।

করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদুল আজহার পর শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিন চলছে আজ। সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বাসা থেকে অপ্রয়োজনে বের না হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। বেশিরভাগই বের হয়েছেন অপ্রয়োজনে। আবার অনেকে অতি-উৎসাহী হয়ে সড়কে নেমেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান দেখতে।

ক্রিসেন্ট রোডে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় কয়েকজনের। সড়কে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কেউই সঠিক কারণ জানাতে পারেননি। তারা বলছেন, বাসায় থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠছেন। তাই বন্ধু বা পরিচিতজনদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটানোর জন্য বের হয়েছেন।

ক্রিসেন্ট রোডের বাসিন্দা আমজাদ পাঠোয়ারীর সঙ্গে কথা হয় ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে। তিনি জানান, অফিস বন্ধ। বাসায় আর কত থাকা যায়? তাই একই ফ্ল্যাটর কয়েকজন মিলে চা পান করতে বের হয়েছি। সঙ্গে বাসার জন্য কিছু বাজারও করা হবে।

কলাবাগান সড়কে কথা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তাদের মধ্যে রাফি নামে এক শিক্ষার্থী জানান, গলির পরিচিত বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতেই সড়কে এসেছেন। বাসায় থাকতে থাকতে তারা বিরক্ত হয়ে উঠছেন।

এসব সড়কে মানুষের সমাগমের মধ্য দিয়ে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি। কিন্তু তারা দেখেও না দেখার ভান করে গাড়ি হাঁকিয়ে চলে যান অন্যত্র। পান্থপথ সড়কে কথা হয় কলাবাগান থানার এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা চাই অপ্রয়োজনে কেউ বের না হোক। আমরা প্রায়ই বেশি মানুষের জটলা দেখলে ধাওয়া করি। কিন্তু আবার তারা চলে আসে। সেক্ষেত্রে আমাদের কী করার থাকে, বলেন?

dhakapost

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার, খাবার দোকান, হোটেল, ওষুধের দোকানসহ প্রয়োজনীয় দোকানপাটের বাইরে অন্যান্য দোকান না খোলার নির্দেশনা থাকলেও শাটার নামিয়ে প্রায় গলিতেই চলছে বেচাকেনা।

গ্রিন রোডের সানজিদা ইলেকট্রনিক্সের দোকানের এক কর্মচারী জানান, পুরো লকডাউনে তাদের দোকান খোলা রাখা হচ্ছে। শাটার কিছুটা খোলা রেখে বাইরে মালিকের পাহারায় তারা পণ্য বিক্রি করছেন। তবে মাঝে মধ্যেই পুলিশ ধাওয়া করে। এ নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়ে হাট-বাজার, চায়ের দোকান বা জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভিড় পরিহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

করোনা সংক্রমণ কমাতে ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হয়। ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।

সূত্রঃ ঢাকাপোস্ট


সর্বশেষ সংবাদ

দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com

সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ   https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান

সংবাদটি শেয়ার করুন