রিজেন্ট হাসপাতাল এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম কোথায় আছেন, তা স্পষ্ট করে বলছে না কেউ। র্যাবের দাবি, অভিযান চলছে, শিগগির গ্রেপ্তার হবেন। তাঁর স্ত্রী বলছেন, রিজেন্ট হাসপাতাল অভিযানের রাতে (৬ জুলাই) তাঁর সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়। তখন সাহেদ বলেছিলেন, ‘রাতে ফিরব না। যেখানে আছি, সেইফ আছি।’
কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুর শাখা। আটক করা হয়েছে হাসপাতালের নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল আসামি মো. সাহেদ।
সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরাবী জানান, টিভিতে র্যাবের অভিযানের খবর দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। অভিযানের আগ পর্যন্ত রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর তিনি নিজেও অনেককে ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আসতে বলেছেন। সাদিয়া মনে করেন, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া র্যাব এই অভিযান পরিচালনা করেনি।
সাদিয়া বলেন, তাঁর বড় মেয়েটি কিশোরী। টেলিভিশনে এসব খবর দেখে সে খুব বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। স্বামী অপরাধী হলে তিনিও বিচার চান।
এদিকে গতকাল সকালে র্যাব নাখালপাড়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারিক শিবলীকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ জানান, তরিকুলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টেলিহোমস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও সাহেদ করিমের ভায়রা আলী বশিরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
র্যাব বলেছে, ঢাকার বাইরেও র্যাবের একাধিক দল কাজ করছে। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
রিজেন্ট ও সাহেদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩০ দিনের জন্য ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে। এর ফলে এসব হিসাব থেকে আর কোনো অর্থ উত্তোলন করা যাবে না। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গতকাল এক চিঠিতে সব ব্যাংককে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব জানান, অধিদপ্তরের কাছে কয়েকটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে। লাইসেন্স (সনদ) নবায়ন না করার পর এই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হলো কী করে জানতে চাওয়া হয়েছে। যাঁরা এই চুক্তির জন্য দায়ী, তাঁদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার জানান, হাসপাতাল বিভাগ জবাব প্রস্তুত করছে। একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন