কৃষি ও প্রকৃতি ফিচার্ড

লাউ চাষ করে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছে ৫ বন্ধু

লাউ-চাষ-করে-স্বপ্ন-পূরণের-চেষ্টা

চাকরির নাম সোনার হরিণ, তাই ‌চাকরির পেছনে না ঘুরে ইচ্ছা শক্তি, পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও সততা থাকলে কৃষি কাজের মাধ্যমেও স্বপ্ন পূরণ করা যায়। সেই ইচ্ছা শক্তি নিয়েই নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য লাউ চাষ করে সফলতার মুখে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার শিক্ষিত পাঁচ উদ্যোক্তা।

জানা যায়, উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের গোজাকুড়া গ্রামে বন্ধুর ২ একর জমি লিজ নিয়ে লাউ চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে কয়েক ধাপে বিক্রির পর তারা আশার আলো দেখেন। তিন লাখ টাকা ব্যয় করে সকল খরচ বাদ দিয়ে এ পর্যন্ত লাভ হয়েছে একলাখ টাকা। সামনে আরো এক মাস এই লাউ বিক্রি করতে পারবেন তারা। এতে আরো দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হওয়ার আশায় রয়েছেন। এই লাভে পাঁচ বন্ধুর আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে। তারা আরো আগ্রহী হয়ে ওই জমির সাথে আরো ৫০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে সেখানে শসা আবাদ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

এই পাঁচ উদ্যোক্তা হলেন, আবিদ আল আল হাসান সৈকত, আতিকুর রহমান, তানিম মাহবুব, সজল সুত্রধর ও সজিব আহামেদ।

সবজি চাষের মাধ্যমে তাদের এ সাফল্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈকত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সবজি আবাদের জন্য নিজেদের জমি না থাকায় বন্ধুর দুই একর জমি নিয়ে চাষ শুরু করি। প্রথমদিকে সবজি চাষ বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান ছিল না। যার ফলে প্রথম প্রথম তেমন একটা সুবিধা করতে পারতাম না। তবে ধীরে ধীরে সব আয়ত্ব করে নিয়েছি। বিভিন্ন এলাকায় সফল কৃষকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করতাম।

তারা আরো বলেন, সবজির কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পেতে হলে অবশ্যই ভালো বীজের পাশাপাশি কীটনাশক, জৈবসার ও ভিটামিনের দরকার হয়। কিন্তু আমরা কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু মাত্র লাগানোর সময় ভার্মি কস্পোষ্ট দিয়েছি। চারা একটু বড় হলে ডিএপি, পটাশ, জি্কং, বোরন, জিপসাম ও মেগনেসিয়াম ব্যবহার করেছি। পরবর্তীতে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি।

লাউ চাষে বাম্পার ফলন পেতে ও বিভিন্ন পোকা বিশেষ করে মাছি পোকার আক্রমন থেকে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে ভাল কাজ করেছে বলেও তারা জানান। বর্তমানে লাউ, শসা, করল্লা, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য সবজি চাষ করার জন্য জমি প্রস্তত করা হয়েছে। তারা জানান, সবজির মাঝে সবথেকে বেশি লাভ আসে লাউ থেকে। এ ছাড়াও আরো ৫০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন তারা।

নালিতাবাড়ী উপজেলার উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হেসেন বলেন, সবজি চাষের মাধ্যমে চাষিরা প্রতিবছরই পাচ্ছেন ব্যাপক সফলতা। চলতি বছর উপজেলায় ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে সবজি। ভালো দাম পাওয়ার জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন সুপার সপগুলিতে সাপ্লাই দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। প্রতি বছর সবজি চাষে যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। পাশাপাশি অনেকেই হচ্ছেন স্বাবলম্বী।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডেস্ক রিপোর্ট (এফ/এইচ, বিডি)

সংবাদটি শেয়ার করুন