সিরাজগঞ্জে পানির নিচে ৬০৯২ হেক্টর ফসলি জমি
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি বাড়ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এদিকে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তিল, কাউন, বাদামসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
বুধবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপরে এবং শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া, ইছামতি, ফুলঝোড়, বড়াল, হুড়াসগড় ও চলনবিলের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিও অবনতি হচ্ছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।
এদিকে, কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার শ্রমজীবীরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনো শুরু হয়নি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ফলে জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তিল, কাউন, বাদামসহ উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে। এতে কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এফআই/সিএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে CBNA24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
আমাদের ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/deshdiganta.cbna24 লাইক দিন এবং অভিমত জানান