ফিচার্ড সাহিত্য ও কবিতা

অঞ্জলি দে নন্দী মম- এর তিনটি কবিতা

অঞ্জলি দে নন্দী মম– এর তিনটি কবিতা

১. দিগন্ত
দূর দিগন্ত গোধূলীর অস্ত রঙে রেঙেছে।
তাকিয়ে দেখে আমার প্রেমের বাঁধ ভেঙেছে।
মনের আকাশ আমার রঙিন আবেশে ভেসেছে।
হৃদয় আমার দিগন্তে ভালবেসেছে।
নীড়ের সাথে মিলন টানে পাখি যত
পশ্চিমে ফিরে আসে।
ওদের অন্তরে আবেগ কত।
দিগন্ত দূর দৃষ্টিতে হাসে।
কেউই জানে না
দিগন্তের ঠিকানা।
তবুও সে অজানাকে কাছে পেতে চায়।
অবুঝ বাসনা সেই দিগন্ত পানেই ধায়।
অপরূপ দিগন্ত।
নাই তার আদি বা অন্ত।
দিগন্ত চির অনন্ত।
হৃদ-বন্ত।


২. দীঘি
দীঘিজল।
স্বচ্ছ, টল টল টল।
ভাসে, হাসে শালুকের দল।
হংসী আর হংস যত
আহা মনোরম সৌন্দর্য কত!
কখনও বা মৎস লাফায় আনন্দে।
সারাটি দিন দীঘিজল আলোকিতা।
যখন নামে সন্ধ্যে
জলের ওপরে জ্যোৎস্না পুলকিতা।
মায়াবী মলয় দীঘির ওপরে করে লীলা।
দীঘি তো তার প্রিয়া, গভীরা সলিলা।
আমি দীঘি-স্নানে হই স্নিগ্ধ, মধ্যান্যকালে।
তখন সবিতা দীঘিজলে তাপ ঢালে।
তবুও সে গরম হয় না।
দীঘি আমার কথা কয় না।
চুপচাপ শুধু চেয়ে রয়।
যেন নীরবে ও কত কথাই না কয়।


৩. চাঁদ
চাঁদ ডাকে।
হাসিতে থাকে।
প্রেমে রাখে।
অপূর্ব, নির্বাকে।
জ্যোৎস্না অবাধ।
দেখে দেখে মেটে না সাধ।
রজনীর প্রিয় চাঁদ।
চাঁদের টানে তো জোয়ার উন্মাদ।
উথালী পাথালী তার চঞ্চলতা।
আকুল, ব্যাকুল, অকুল তার উচ্ছলতা।
চাঁদেরে পাওয়ার অনন্ত বিহ্বলতা।
চাঁদ যে নিজেই প্রেমাশেষ।
আপন উৎফুল্লতায় ভরায় ধরার প্রতি নিমেষ।
অফুরান তার আবেগ আর আবেশ।
চাঁদের আলো মোহময়।
মায়াবী আকর্ষণ হয়ে ও রয়।
চাঁদ আকাশের অমূল্য সঞ্চয়।
চাঁদ তো অতুলনীয়।
পৃথিবী চাঁদের বড় প্রিয়।
যুগ যুগ যুগ ধরে ঘুরে চলেছে।
পরস্পরের সম্পর্ক সফল-ফলেছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন