অধরা ঠিকানা |||| পুলক বড়ুয়া
অন্তর্গত উচ্চারণে আমার স্পর্শের
বাইরে আমার হাতের ছোঁয়ায় মূর্ত
হতে এসে অন্তর্জালের বন্দিনী তুমি
অধরা ঠিকানা তুমি ডাক হরকরা
ছাড়া এলে, অলিখিত খামের মতোন
মন ছুঁয়ে গেলে, আঙুল বুলিয়ে গেলে
ভার্চ্যুয়াল খিড়কি-দুয়ার খুলতেই
অন্তরীণ যুগল ডানার চুপ-শব্দে
আঁখি মেলে মুখপানে চেয়ে প্রিয় পরি
যেন তুমি এক আছ খুব চেনা মৌন
নৃত্যপটিয়সী হাওয়ার আলোর নাচ
চোখে-মুখে ঝাপসা-ঝাপটা ছুঁড়ে দিয়ে
প্রথমে বুঝিনি তুমি সেই তুমি নাকি
অন্য তুমি অন্য কেউ আর কেউ তুমি
এই তুমি সেই তুমি নেই তুমি কিনা
জানি না, জানতে চাইনি কেবল জানি
তুমি শুধু তুমি, একজন তুমি—হতে
পার সেই তুমি, অন্যরূপা শতরূপা
তাতে কিছু আসে না, যায় না, আসেনি তো—
আমার আঁখিতে তুমি বার বার ফিরে
আস পুনসংস্করণ নয়, প্রতিবার
নব নব পুনর্মুদ্রিত স্বরূপে আর
সে তোমাকে দেখেছে তেমনি, তার কাছে
তুমি কত রূপে কতবার ঢেউ তুলে
দুপাড়ের মধ্যিখানে নদী হয়ে বয়ে
গেছ; একবার আস, একবার যাও;
জোয়ার-ভাটায়, আমি চেয়ে চেয়ে দেখি;
একদা তাহার বালুচরে খেলাঘর
খেলতে খেলতে গড়তে গড়তে কত
বেলা এসে-গেছে—রয়ে-সয়ে-ক্ষয়ে-জয়ে
পরাজয়ে মনোমরুবালুচরে—আমি
কী উটের মতো মুখ গুঁজে পড়ে আছি
স্মৃতি হয়ে মনসাহারায় বালুচাপা
পড়ে আছি অই মনোমরুবালুঝড়ে !