দেশের জনপ্রিয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এবার রাইডে এনেছে আরও বেশি নিরাপত্তা!
অফলাইন রাইডের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে নানা ঘটনা। অনেক সময় ফোনে চার্জ কম থাকে, ডেটা শেষ হয়ে যায়, কিংবা কারও হাতে থাকে শুধু বাটন ফোন—এমন পরিস্থিতিতে আমরা অনেকেই হুট করে হাতের কাছের রাইড নিয়ে ফেলি। ভাড়া নিয়ে কথা বলে রাইডে উঠি, আর ধরে নিই গন্তব্যে ঠিকঠাক পৌঁছে যাব। কিন্তু এখানেই তৈরি হয় সবচেয়ে বড় সমস্যাটা। কারণ অ্যাপের বাইরে হওয়া এসব রাইডে থাকে না কোনো ট্র্যাকিং, থাকে না রাইডার বা ইউজারের তথ্য, এমনকি আমাদের জন্য নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তাও থাকে না। আর তখনই ঘটে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
বর্তমানে প্রতিদিনের ৬০%-এরও বেশি বাইক রাইড হচ্ছে অ্যাপের বাইরে, যেখানে ইউজারদের কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভরসা করতে হয় রাইডারের ওপর। এতে করে ইউজার ও রাইডার—দু’জনেরই নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
ঠিক এই সমস্যার সমাধান আনতেই পাঠাও চালু করেছে ‘পাঠাও কানেক্ট’—একটি স্মার্ট, সহজ ও নিরাপদ সমাধান, যা অফলাইন রাইডকেও অনলাইনের মতো সুরক্ষিত করে তোলে।
পাঠাও কানেক্ট এমন একটি ফিচার, যা স্মার্টফোন বা ডেটা না থাকলেও অফলাইন রাইডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ইউজার ও রাইডার—কেউ একজন অ্যাপে নির্ধারিত কোড বা ফোন নম্বর দিয়ে রাইড কানেক্ট করলেই সেই রাইড পাঠাও-এর সিস্টেমে যুক্ত হয়ে যায়। ফলে রাইডটি হয়ে যায় ট্র্যাকযোগ্য, রাইডারের তথ্য থেকে যায় ভ্যালিড, এবং পাঠাও-এর সব নিরাপত্তামূলক ফিচার যেমন লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের তথ্য, এমনকি বিনামূল্যে ট্রিপ সেফটি কভারেজও সক্রিয় থাকে।
সবচেয়ে বড় কথা, পাঠাও কানেক্ট অফলাইনের মতোই ফ্লেক্সিবল।
আপনি ইউজারের সঙ্গে সরাসরি ভাড়া ঠিক করতে পারবেন।
ক্যাশে পেমেন্ট দিতে পারবেন।
কোনো অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না।
কিন্তু রাইডটি থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ, ট্র্যাকযোগ্য এবং আপনার নিয়ন্ত্রণে। এখানেই শেষ নয়—পাঠাও কানেক্ট ব্যবহার করে রাইড করলে আপনি পাবেন পাঠাও পয়েন্টস, যা ভবিষ্যতের রাইডে ডিসকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও কানেক্টেড রাইড ব্যবহার করলে পাঠাও-এর নানা অফার ও বেনিফিটও উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াতে আরও সহজতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই পাঠাও-এর এই নতুন ফিচার—পাঠাও কানেক্ট। এর পেছনের ভাবনা খুবই সহজ: নিরাপদ রাইড নিশ্চিত করতে ওয়াইফাই দরকার নেই, দরকার সঠিক টুল। দিনশেষে পাঠাও কানেক্ট মানে হলো যেকোনো পরিস্থিতিতেও সহজ, নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাইডের নিশ্চয়তা।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যা শুধু অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগই তৈরি করেনি, বরং সবার দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইডশেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকস—সব ক্ষেত্রেই পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে পাঠাও-এর রয়েছে:
১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী,
৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট,
২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং
১০,০০০ রেস্টুরেন্ট।
এছাড়াও প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক
এফএইচ/বিডি
CBNA24 রকমারি সংবাদের সমাহার দেখতে হলে
আমাদের ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে ক্লিক করুন।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ভিজিট করতে পোস্ট করুন।



