অলৌকিক অশ্ব |||| পুলক বড়ুয়া
তুমি এক অলৌকিক উপহার নিয়ে এলে সাথে
তোমার স্বহস্তে দিলে
জাদুর মতোন এক
অশরীরী শরীর, তোমার
অলৌকিক উপহার
ওর ঘাড়ে দীপক তাকত আছে
ওর দেহে সজোর হিম্মত আছে
ওর পায়ে জোর আছে
বোঝা যায়, বাহাদুর-পরাক্রমশালী
পটুয়া, ওস্তাদ
তুমি এরকম ভালোবাস
মনে হয়, শুধু জাঁদরেল নয়, জাদুকরী
রূপ-গুণে ভরপুর
কী সাঁজোয়া—সাদা-কালো-লাল-
সবুজ-বাদামী ও হলুদ—কী তেজস্বী
এক তেজিয়ান—যেমন, লায়েক—তেমনি, নায়েক
একটি রক্তিম পৃথিবীর
মতোন মৃন্ময়ী
চাকতির শোণিতে সটান
গড়া-খাড়া-আঁকা :
সমরে উদ্যত সঙ্গীনের মতো প্রাক্ যুদ্ধংদেহী
এ কোনো মেধাবী-উজ্জ্বল-প্রতিভাবান
পটুয়ার ত্রিমাত্রিক লোকশিল্পের মৃত্তিকা-
কলার জীবন্ত
টগবগে আলপনা থেকে জেগে ওঠা
কাল্পনিক অশ্বশক্তি : শুধু তরুণ-নন্দন নয়—
এ তোমার এ আমার প্রাকৃত পিপাসা
এ তো কতকাল
ঋদ্ধ অন্তর্গত অব্যাহত অভিযান অভিযাত্রা
রাগ-অনুরাগ-পূর্বরাগ জর্জরিত
শোভিত উত্থিত
উদ্ধত উত্থান
একচ্ছত্র হৃদয়পুরীতে
প্রতীকী প্রবেশ
হে যৌবনা, ওগো শাশ্বত সুন্দরীতমা
আজ আমাদের দোঁহার উৎসব-যজ্ঞ
জনান্তিকে একরাশ প্রিয় অভিসার
আমি রাজা নই
আমি যুবরাজ নই
আমি কারো রাজপুত্তুর না
আমি অপরূপ রূপকথা থেকে উঠে আসা কোনো
রাজকন্যা-রাজকুমারী না
কবিতাকুমারী, বড়জোর
এক বাগদেবীকে চেয়েছি
… আমি তার সোয়ারী হব না …
… আমি কেন শিল্পকলার সোয়ারী হব …
তুমি আজ অই অলৌকিক অশ্বের ভূপৃষ্ঠে-দিলে
অরূপ অমূর্ত কন্ঠের অব্যক্ত অমিয় বাণীর
চিরপ্রিয় বরপুত্রকে সোয়ারী করে দিলে
প্রার্থীত চাবুকে