বর্তমান সময়ে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সেই প্রতিযোগিতায় অন্য দেশগুলোর তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন। কারণ তাদের দাবি, বিশ্বের প্রথম তিন ইঞ্জিনবিশিষ্ট মানববিহীন বিমানটি (ড্রোন) এখন তাদের হাতে, এই ড্রোন শুধু চীনের আছে । গত বৃহস্পতিবারই এই ড্রোনটি ওড়াতে সক্ষম হয়েছেন তারা। বলা হচ্ছে, এই বিশাল ড্রোনটি পরিবহন ও বিভিন্ন মিশনে ব্যবহার করা হতে পারে।
চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডুভিত্তিক টেংডেন টেকনোলজি কম্পানি এই ড্রোনটি তৈরি করে। চীনের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে এই বিমানটি সফলভাবে ওড়ে ও অবতরণ করে। চেংডু ডেইলি নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিতে করেছে।
জানা যায়, ড্রোনটির প্রস্থ ২০ মিটার আর দৈর্ঘ্য ১১ মিটার। এটিতে রয়েছে তিনটি পিস্টন ইঞ্জিন। ড্রোনটি তিন দশমিক দুই টন ওজনের মালবহন করতে পারবে। এটি ওড়তে পারবে টানা ৩৫ ঘণ্টা। ড্রোনটি ওড়তে পারবে সাড়ে ৯ হাজার মিটার উপরে দিয়ে। প্রতি সেকেন্ডে উপরে ওঠতে পারবে ১০ মিটার। আর ড্রোনটি সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় তিনশ কিলোমিটার।
চায়না নিউজ জানায়, এই ড্রোন শুধু চীনের আছে ড্রোনটি ২০২১ সালের দিকে বাজরে আসবে। এটি চীনে ব্যবহার করা হবে। তবে ড্রোনটি বিক্রয় করা হবে দেশের বাইরেও। বলা হচ্ছে, ড্রোনটির দাম হবে অনেক কম। কিন্তু ব্যবহার করা যাবে অনেক দিন।
গ্লোবাল টাইমস জানায়, এই ড্রোনটিতে তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনগুলোই ড্রোনটিকে অনেক শক্তিশালী করেছে। সেই সঙ্গে বেশি পরিমাণে মালবহন করতে সক্ষম হয়েছে ড্রোনটি। এছাড়াও এই ড্রোনটি খুব দ্রুত ওড়তেও পারবে।