ধর্ষণের স্থান। ছবি : সংগৃহীত
‘একই জায়গায় আগেও ধর্ষণ করেছিল মজনু’ রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের স্থানে এর আগে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মজনু। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধু এই প্রথম না, এর আগে সে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবন্ধী নারীদের নিয়ে এসে একই জায়গায় এই ধরনের অপকর্মগুলো করেছিল।’
ঘটনার দিন মজনু ওঁত পেতে ছিল জানিয়ে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘সেদিন সে কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। তখন সে বের হয়ে এসে রাতের বেলা অন্ধকারে একটি মেয়ের ব্যাগ দেখতে পেয়ে স্বভাবতই নিজে আলোড়িত বোধ করেছিল। যার কারণে সে মেয়েটাকে ধরেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জায়গাটি মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এটা কিন্তু একটু আড়ালেই। ওই সময় এখানে মানুষের আনাগোনা কম থাকে। যার কারণে সে দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানে অবস্থান করে এই অপকর্মগুলো করতে পেরেছিল।’
এ সময় র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, ‘র্যাপিস্ট আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তার টার্গেট থাকতো মেইনলি মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক মেয়েদের ওপর। সে বলেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে ওই জায়গায় আনতো। আপনারা জানেন যে, ল্যান্ডস্কিপিংয়ের কারণে ওই জায়গায় কিছু ঝোঁপ বা গুল্ম জাতীয় গাছ দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আড়ালে খুব বেশি জঙ্গল নেই। আবার খুব বেশি বেশি আড়ালও নেই। তবে সন্ধ্যা থেকে রাতের দিকে ওই জায়গায় মানুষের আনাগোনাটা কম থাকে।’
আরও পড়ুনঃ মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট, রাস্তার ভিক্ষুক-প্রতিবন্ধীকেও ধর্ষণ করতো: র্যাব
আরও পড়ুনঃ মুজিববর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে জাস্টিন ট্রুডো
আরও পড়ুনঃ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাজার, নিহত ৩০
আরও পড়ুনঃ বিলেতে কমলগঞ্জের শতজন
তিনি বলেন, ‘এই প্রথম সে প্রতিবন্ধী ছাড়া অন্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবসময় যে সে একই জায়গা ব্যবহার করেছে তা সে স্বীকার করে নেয়নি।’
মজনুর ভেতরে কোনো অনুশোচনা দেখতে পাননি জানিয়ে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘সে পুরোপুরি নির্বিকার। প্রথম ধরা পড়ার পরই সে সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছিল। সে ওই ছাত্রীকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করেছিল বলেও সে স্বীকার করে নেয়।’
উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন।
এরপর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাবি ছাত্রীকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়েছিল মজনু
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে জোর করে রাস্তা থেকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ধর্ষক মজনু। আজ বুধবার দুপুরে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মজনু ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করেনি। মূলত সে মেয়েটাকে ফলো করছিল। আর আপনারা দেখেছেন যে আমাদের ভিকটিম কিন্তু ক্ষীণকায়। তাকে সে পাঁজাকোলা করেই নিয়ে যায়।’
এ সময় মজনুর কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, এর আগেও সে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবন্ধী নারী ও ভিক্ষুককে একই জায়গায় ধর্ষণ করেছে।
এ সময় র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, ‘র্যাপিস্ট আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তার টার্গেট থাকতো মেইনলি মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক মেয়েদের ওপর। সে বলেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে ওই জায়গায় আনতো। আপনারা জানেন যে, ল্যান্ডস্কিপিংয়ের কারণে ওই জায়গায় কিছু ঝোঁপ বা গুল্ম জাতীয় গাছ দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আড়ালে খুব বেশি জঙ্গল নেই। আবার খুব বেশি বেশি আড়ালও নেই। তবে সন্ধ্যা থেকে রাতের দিকে ওই জায়গায় মানুষের আনাগোনাটা কম থাকে।’
তিনি বলেন,‘একই জায়গায় আগেও ধর্ষণ করেছিল মজনু’ ‘এই প্রথম সে প্রতিবন্ধী ছাড়া অন্য মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে সবসময় যে সে একই জায়গা ব্যবহার করেছে তা সে স্বীকার করে নেয়নি।’