বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর তিন মাস পর সরকার এখন দিনে ৩০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করে পরীক্ষার বিকল্প উপায় নিয়ে নতুন কৌশল নিতে চাইছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটির সব জেলায় পিসিআর পরীক্ষা ল্যাব বসানোর পাশাপাশি অ্যন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি শুরু করার ব্যাপারে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পরীক্ষার বিকল্প উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,যেহেতু সংক্রমণের বিস্তার ঘটছে, এই অবস্থায় পিসিআর পরীক্ষা ওপর নির্ভরতা কমাতে অনেক বিলম্ব করা হচ্ছে।
সর্বশেষ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য দিয়েছে, তাতে ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫৯টি ল্যাবে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর তিনমাস পার হলেও, দিনে ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষার টার্গেটে পৌঁছানো যায়নি।
সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, এখন তারা ৩০,০০০ নমুনা পরীক্ষার টার্গেট হাতে নিয়েছেন।
কিন্তু তারা মনে করেন, সংক্রমণ এখন উর্ধ্বমুখী, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা সম্ভব না হওয়ায় অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন, যার সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না।
সরকার এতদিন পিসিআর পরীক্ষার বাইরে অন্য কোন ব্যবস্থা বা বিকল্প কিছু করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে র্যাপিড কিট টেস্টের বিরোধিতা করা হয়েছে।
এখন দেশের বড় শহরগুলোর ল্যাবরেটরিতে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, তারা প্রত্যেক জেলায় পিসিআর পরীক্ষার ল্যাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
একই সাথে তিনি বলেছেন, পিসিআর পদ্ধতির বিকল্প হিসাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।
“আমরা টেস্ট অবশ্যই বাড়াবো। সব জেলায় পিসিআর মেশিন দেয়া যায় কিনা এবং উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার সহজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায় কিনা – এর সাথে আরও বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া, এসব বিষয় আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। এজন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই পরিকল্পনা তৈরি হয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
অধ্যাপক আজাদ আরও বলেছেন, “পিসিআর টেস্ট আর আমরা কত করবো, সেটাও বিবেচনার বিষয় আছে। অন্য ধরণের টেস্ট, যেমন অ্যান্টিজেন টেস্ট আছে। র্যাপিড টেস্ট আছে।”
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে যেহেতু সংক্রমণের তিন মাসের বেশি হয়েছে, সে কারণে অনেকে অ্যান্টিবডি ডেভলভ করে থাকতে পারে। সেটা নির্ণয়ের একটা সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
সরকারের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি পরীক্ষার বিকল্প উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে, সেই কমিটির একজন সদস্য অধ্যাপক শাহ মনির বলেছেন…
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
বাঅ/এমএ
দেশ-বিদেশের টাটকা খবর আর অন্যান্য সংবাদপত্র পড়তে হলে cbna24.com
সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখতে হলে প্লিজ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন