কানাডায় ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, শিক্ষিকার হুমকি এবং…
নিজের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে ভিন্ন দুটি স্কুলের দু’জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষিকা মারিয়ানা রিওসি (৩৪)। এরপর তাদের একজনকে হুমকি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যদি এই সম্পর্কের কথা কাউকে বলে তাহলে আত্মহত্যার করবেন তিনি। ঘটনাটি কানাডার ইয়র্ক রিজিয়ন ক্যাথলিক হাইস্কুলের। সেখানেই শিক্ষকতা করতেন রিওসি। যৌনতার নেশায় উন্মাদ ছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে প্রায় ৫ বছর পরে তাকে চার বছরের জেল দিয়েছে আদালত।
পশ্চিমা একটি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, যে দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তিনি, ঘটনার সময় তাদের বয়স ছিল ১৫ ও ১৬ বছর। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর তিনি স্বীকার করতে চাননি। অবশেষে সাড়ে চার বছর পরে স্বীকার করেন। স্থানীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে কম বয়সী বালকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।
আস্তে আস্তে তার সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। এ সময় তিনি সেইন্ট তেরেসা স্কুলে পার্টটাইম কাজ করতেন। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে জানাশোনা হওয়ার পর তাকে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠাতে থাকেন। সম্পর্ক তাতে আরও গাঢ় হয়। বড়দিনের উপহার হিসেবে ওই বালকের কাছে তিনি চুম্বন দাবি করে বসেন। তিনি ওই বালকের বাড়ির দিকে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময়ই তাদের মধ্যে চুমু বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে তারা রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। বিভিন্ন ভঙ্গিমায় তারা ছবি তোলেন। একসঙ্গে সময় কাটান। কয়েক মাসের মধ্যেই রিওসি উন্মাদের মতো আচরণ করতে থাকেন। এমন অবস্থায় ২০১৭ সালের জুনে ওই বালককে তিনি বলেন, যদি সে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ না করে, তাহলে তার পিতামাতা ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের কাছে বিচার দেবেন। বলবেন, সে তাকে হয়রান করছে। ওদিকে কার্ডিনাল কার্টার স্কুলে ফটোগ্রাফি পড়ানো শুরু করেন শিক্ষিকা মারিয়ানা রিওসি। সেখানে তিনি অন্য এক ছাত্রের সঙ্গে অসামঞ্জস্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর আরও একটি বালক শিক্ষার্থীর সঙ্গে জানাশোনা হয় তার। এ সময় তিনি ওই শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করেন ২০১৮ সালের গ্রীষ্মে তার বিয়ে। তার আগে তাকে যথাযথ আকৃতিতে এনে দিতে হবে। এর ফলে তিনি ওই বালকের কাছে নিজের ছবি পাঠানো শুরু করেন। এর মধ্যে আছে টপলেস ছবিও।
প্রথম বালকের মতো রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে তাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন মারিয়ানা রিওসি। তারপর ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনি ‘ওরাল সেক্সে’ মেতে ওঠেন। কিন্তু তৃতীয় আরেকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মারিয়ানা রিওসির সম্পর্ক আছে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর এই সম্পর্কও ভেস্তে যায়। তখন এই বালককে মারিয়ানা রিওসি হুমকি দেন। বলেন, একথা বাইরের কাউকে জানালে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এসব অভিযোগের পর পুলিশে যায় খবর। তারা সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে কাজ করে। এ সময় ওই শিক্ষিকার গাড়ির সিটে এবং গাড়িতে রাখা একটি স্কার্ফে একজন টিনেজারের শুক্রাণুর সন্ধান পায়। মারিয়ানা রিওসি মোবাইল থেকে শিক্ষার্থীকে পাঠানো টেক্সট ম্যাসেজ পাওয়া যায়। তাতে তিনি লিখেছেন, আমি তোমাকে ভালবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। সব মিলে তাদের মধ্যে ১৫,৫০০ টেক্সট ম্যাসেজ বিনিময় হয়েছে।
